‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া। জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো.

ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মানবপাচারকারীদের আস্তানা থেকে নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা নারী-শিশুসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় নদীতে ভাসমান স্কুলশিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, ‘‘পাচারকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’ 

এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধার হওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনই নারী-শিশু এবং বেশির ভাগই রোহিঙ্গা নাগরিক। সংঘবদ্ধ দালালচক্র উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে কিংবা অপহরণ করে তাদের পাহাড়ি আস্তানায় নিয়ে যায়। অপহৃতদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়েরও চেষ্টা চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালালে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। তবে জিম্মিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

চলতি বছরে টেকনাফে ৬২ জন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৭৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।  

ঢাকা/তারেকুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ