বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির ‘তারুণ্য উৎসব’ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। এতে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল যে, তিনি রাজনীতিতে নামতে পারেন। সমকালের বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

তামিম সাফ জানিয়েছেন, ‘আমার একদমই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই। তবে রাজনীতিকে আমি খারাপভাবে দেখি না। আমি রাজনীতিতে যোগ্যতা বা আগ্রহ অনুভব করছি না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রামে তিনি ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে স্টেজে যোগ দিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়।

রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘যেখানে খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠকরা থাকবেন, সেখানে আমি আপত্তি করব না। তবে যে কমিটি হয়েছে, তাতে আমার নাম নেই। ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে কোনো কমিটিতে থাকতে পারি, বা না-ও থাকতে পারি। সুবিধা-অসুবিধা দুটোই ভাবছি।’

তিনি স্পষ্টভাবেই জানান, ক্রীড়া উন্নয়নে রাজনীতিকদের মাঝে স্পোর্টস বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ হওয়া উচিত। ‘দেশের স্পোর্টসের স্বার্থে এমন রাজনৈতিক নেতা আসবেন, যিনি খেলোয়াড়দের কারণে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি বলব না, আমিই সেই সঠিক মানুষ। তারা যাকে সঠিক মনে করবেন, তাঁকে খুঁজে নেবেন। আমি ওটার জন্য অপেক্ষা করব।’

তবে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসবেন কি না জানতে চাইলে, তামিম বলেন: ‘এটি বলা কঠিন। ২০ বছর পরে গিয়ে কী হবে, কেউ বলতে পারে না। তবে এ মুহূর্তে রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না। আমি এখন রাজনীতি করি না, তাই কোনো নির্দিষ্ট দলের কথা বলব না। আমার কাছে মনে হয়, যারাই আসুক, তারা স্পোর্টসের লোকদের দিয়ে স্পোর্টস পরিচালনা করবেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল র জন ত ক র জন ত ত স প র টস

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

সিলেটে অবৈধ ক্রাসার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (১৪ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সিলেট সফরকালে এ মেশিনের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন।

ক্রাসার মেশিন হলো এক ধরনের যন্ত্র যা পাথর, আকরিক বা অন্যান্য উপকরণকে ছোট ছোট টুকরায় ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।

সোমবার (১৬ জুন) সিলেট শহরতলীর ধোপাগুল এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় ২৬টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।

আরো পড়ুন:

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ধোপাগোলসহ আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইআইএ) ও বৈধ অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু ক্রাসার মিল চলছিল। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল স্থানীয় পরিবেশ। পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসাবে অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ২৬টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশূর রুবাইয়াত জানান, ধোপাগোলে বিদ্যুৎ বিভাগসহ সমন্বিত অভিযান হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম।

এদিকে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়েদ উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, উপদেষ্টাদের সড়ক অবরোধ ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে প্রধান করে ১৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। শনিবার (১৪ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখান থেকে ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়িবহর আটকে বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে স্লোগান দেন।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুই উপদেষ্টা জাফলং পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না। এরপরই কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভ শুরু করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর উপদেষ্টারা গাড়িতে ওঠেন। ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় স্থানীয় বালু-পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ কয়েকশত মানুষ পাথর কোয়ারির ইজারা দেয়ার দাবিতে তাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রাখেন তারা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে উপদেষ্টারা সিলেটে চলে আসেন।
 

ঢাকা/নূর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ