জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক
Published: 16th, June 2025 GMT
জোরপূর্বক বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোভস্কা এবং সদস্য আনা লরেনা ডেলগাদিয়ো পেরেজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী।
সোমবার (১৬ জুন) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দলটি চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে।
বৈঠকে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ সংক্রান্ত ইস্যু মোকাবিলায় গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
আরো পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদল
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি গায়ানা, যা বললেন রাষ্ট্রদূত
তারা বাংলাদেশকে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব অল পারসন্স ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেসে’ (আইসিপিপিইডি) যুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানান। এছাড়া নিখোঁজবিষয়ক তদন্ত কমিশনের (সিওআই) কার্যক্রম ও অঙ্গীকারেরও প্রশংসা করেন তারা।
বৈঠকে গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা তাদের ম্যান্ডেট কীভাবে বাংলাদেশের সরকারের প্রচেষ্টাকে আরো সহযোগিতা করতে পারে, তা বোঝার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা সরকারের চেষ্টাকে আরো কার্যকর করতে সহায়তা ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের আগ্রহও ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র সচিব সরকারের মানবাধিকার রক্ষা, সুরক্ষা এবং উন্নয়নে অটল অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নিখোঁজদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সহায়তা এবং কারিগরি সহায়তা এগিয়ে নিতে স্বাগত জানান।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’