গোপালগঞ্জে এক ব্যক্তিকে অপহরণের সময় দু’জনকে পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে জনতা। ওই দু’জন নিজেদের সেনাবাহিনী ও র‌্যাব কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। রোববার সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর মামলায় আজ সোমবার দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪২) ও টুঙ্গিপাড়ার জোয়ারিয়া গ্রামের শ্রীবাস ঢালী (৩২)। ভুক্তভোগী সোনা মিয়া (৪২) সদর উপজেলার সুকতাইল ইউনিয়নের চরতালা গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, হাবিবুর নিজেকে সেনা কর্মকর্তা ও শ্রীবাস নিজেকে র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে রোববার তাঁকে ইজিবাইকে তুলে চন্দ্রদিঘলীয়া নিয়ে যান। পরে সোনা মিয়াকে দিয়ে ওই ব্যক্তিকে পরিবারের সদস্যের কাছে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় ক্ষিপ্ত হয়ে জনতা তাদের পিটুনি দিয়ে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে সোনা মিয়া গোপালগঞ্জ সদর থানায় রাতেই মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই থানার ওসি মির মো.

সাজেদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে সোমবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা