প্রথমবারের মতো ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদল
Published: 16th, June 2025 GMT
চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য। এটি সংস্থাটির কোনো সদস্যের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ গতকাল রবিবার (১৫ জুন) ঢাকায় পৌঁছেছেন।
ঢাকা সফরকালে আইন উপদেষ্টা ড.
আরো পড়ুন:
রাজধানীতে কর্মজীবী নারী হোস্টেল থেকে মরদেহ উদ্ধার
ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণা দাবিতে প্রশাসনকে ‘সালাম’
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্যের আগামী ১৮ জুন ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবাসীর ভবন উদ্ধোধন করতে এলেন সৌদি নাগরিক
মাদারীপুর সদর উপজেলার মাদ্রা গ্রামের সুমন মিয়া ২০০১ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে যান কাজের সন্ধানে। একপর্যায়ে সেখানে শুরু করেন ঠিকাদারি কাজ। এরপর সৌদি আরবের নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবির সঙ্গে পরিচয় এবং পরে বন্ধুত্ব। বাড়তে থাকে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা।
প্রবাসী সুমন দেশে এসে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকায় জমি কিনে সাততলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ শুরু করেন। পরে আবারো জীবিকার তাগিদে যান সৌদি আরব। বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি জানতে বাংলাদেশে আসতে চান সৌদি আরবের নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি। চাওয়া অনুযায়ী স্ত্রীকে নিয়ে হাজির বাংলাদেশে। বিষয়টিতে অবাক করেছে সুমনকেও। ভালোবাসার টানে এভাবে অন্যদেশে ভবন উদ্বোধনে স্ত্রীকে নিয়ে ছুটে আসায় খুশি স্থানীয়রাও।
জানা গেছে, গত বুধবার হুমুদ দায়ফাল্লা সস্ত্রীক আসেন বাংলাদেশে। পরে ওঠেন মাদারীপুরের শহরের একটি আসাবিক হোটেলে। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অটোরিকশা চড়ে স্ত্রী সাহাব মোহাম্মদ গ্রেইনিকে নিয়ে মাদারীপুর সদরের কুকরাইল এলাকার বন্ধু সুমন মিয়ার বাড়িতে আসেন তিনি। পরে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন বন্ধু সুমনের বহুতল ভবনটি।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে তারা জানান ভালো লাগার কথা। অতিথি আপ্যায়নে মুগ্ধ হয়ে আবারো আসতে চান বাংলাদেশে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষক কাজী ওবায়দুর রহমান বলেন, “ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল খুবই চমৎকার। এতো সুন্দর আয়োজন মুগ্ধ করেছে।”
সৌদি নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আলওথাইবি বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি, তাও আবার স্ত্রীকে নিয়ে। এখানকার মানুষের অ্যাপায়নে আমি মুগ্ধ, আমার স্ত্রীও খুশি। আগামীতে আবারো বেড়াতে আসব বাংলাদেশে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এতটা অতিথি পরায়ণ বুঝতে পারিনি। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে যত্ন করছে, আমি খুবই আনন্দিত। বিষয়টি নিজ দেশে ফিরে অন্যদের কাছেও বলব, যাতে তারা বাংলাদেশে বেড়াতে আসে।”
প্রবাসী সুমন মিয়া বলেন, “ভালো সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব থাকার কারণেই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসেন। এতে আমি খুব খুশি। বিষয়টিতে আমাকে অবাকও করেছে। কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের।”
ঢাকা/বেলাল/মেহেদী