ফোন নম্বর কাজে লাগিয়ে একে অপরকে বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠানো যায় হোয়াটসঅ্যাপে। শুধু তা-ই নয়, চাইলে যেকোনো ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের খোঁজও মিলে থাকে। কিন্তু ফোন নম্বর প্রকাশের কারণে মাঝেমধ্যেই সরাসরি ফোন করেন অপরিচিত ব্যক্তিরা। ফলে বিরক্ত হন অনেকে। এ সমস্যা সমাধানে ‘ইউজারনেম’ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সুবিধাটি চালু হলে নিজেদের ফোন নম্বর না প্রকাশ করেই পরিচিত বা অপরিচিত সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটা ইনফো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের বেটা সংস্করণে (২৫.

১৭.১০.৭০) ইউজারনেম সুবিধা যুক্ত করার কাজ চলছে। সুবিধাটির কার্যকারিতা এখনো পরীক্ষা করা না হলেও কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে তথ্য চুরি, নিরাপদে থাকবেন যেভাবে২৭ মে ২০২৫

হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, ইউজারনেম সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা অক্ষর ও সংখ্যার সংমিশ্রণে একটি ইউনিক ইউজারনেম তৈরি করতে পারবেন। তবে ইউজারনেমে ডট (.) ও আন্ডারস্কোর (_) ছাড়া অন্য কোনো বিশেষ অক্ষর ব্যবহার করা যাবে না। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইউজারনেমের শুরুতে ‘www.’ এবং শেষে ‘.com’ বা অন্য কোনো ডোমেইন যুক্ত করা যাবে না। এ ছাড়া একই ইউজারনেম একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন না। কেউ ইউজারনেম পরিবর্তন করলে, বার্তার মাধ্যমে তা অন্যদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে যে ৮ কাজ কখনো করবেন না ১০ জুন ২০২৪

নতুন এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বর্তমানের তুলনায় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, শিগগিরই সুবিধাটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে পারে।

সূত্র: ম্যাশেবল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ