Samakal:
2025-09-18@02:31:27 GMT

গল টেস্টে অনিশ্চিত মিরাজ

Published: 16th, June 2025 GMT

গল টেস্টে অনিশ্চিত মিরাজ

মেহেদী হাসান মিরাজ খুশি ছিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মনোনীত হয়ে। ভালো লাগার আবেশ নিয়ে শুক্রবার গেছেন শ্রীলঙ্কা। কলম্বো বিমানবন্দরে পৌঁছে সতীর্থদের সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন। যদিও ওয়ানডের অধিনায়ক ভালো লাগায় বিভোর থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। প্রথম টেস্টের ভেন্যু গলে পৌঁছে শরীরে অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল হোটেলেই ছিলেন তিনি। প্রথম টেস্ট না খেলার শঙ্কা নিয়ে আজও হোটেলে থাকতে হতে পারে তাঁকে। কারণ আজ নতুন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম টেস্টের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলবেন কিনা।

বিসিবির প্রধান ফিজিশিয়ান দেবাশীষ চৌধুরী গতকাল সমকালকে জানান, থার্মোমিটারে তাপমাত্রা স্বাভাবিক দেখালেও ভেতরে ভেতরে জ্বর ও ব্যথা অনুভব করছেন মিরাজ। ঠান্ডা কাশি বা শরীরে ব্যথা থাকলেও করোনামুক্ত টাইগার এ অলরাউন্ডার। ওয়ানডে অধিনায়কও নিশ্চিত করেছেন অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা নেগেটিভ হওয়ার কথা। তবে শরীরে জ্বর অনুভব করাকে ফ্লুর লক্ষণ মনে করা হচ্ছে। 

বিসিবির চিকিৎসক বলেন, ‘ফ্লু হলে তাকে নাও খেলাতে পারে। কারণ যে কোনো ফ্লু পাঁচ দিন ছড়াতে পারে। ফ্লু থেকে অন্যদের রক্ষা করতেই খেলার বাইরে রাখার চিন্তা করতে পারে ম্যানেজমেন্ট। শরীর দুর্বল আছে বলেও জানা গেছে। দুর্বল থাকলে পাঁচ দিন খেলতেও পারবে না।’ 

জাতীয় দল সূত্রে জানা গেছে, মিরাজের ব্যাপারে আজ বিকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিছুটা ভালো অনুভব করলে মিরাজের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার।
 
সমুদ্রতীরের শহর গলেতে বৃষ্টির উৎপাত লেগেই আছে। বৃষ্টির কারণে শনিবার অনুশীলন করা হয়নি। গতকাল ছিল নাজমুল হোসেন শান্তদের প্রথম অনুশীলন সেশন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আজ আরেকটি অনুশীলন সেশন হতে পারে। যদিও গলের কন্ডিশন মুশফিকুর রহিমের কাছে পরিচিত। ২০১৩ সালে লঙ্কান এ ভেন্যুতেই প্রথম দ্বিশতক করেছিলেন তিনি। মুশফিকের ২০০, মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ আর নাসির হোসেনের ১০০ রানের টেস্ট ম্যাচটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এই ভেন্যুতে ২০১৭ সালে খেলা টেস্ট ম্যাচটি বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মুশফিকরা। 

গলের সে ম্যাচে বল হাতে ভালোই সফল ছিলেন মিরাজ। ৪২ ওভার বল করে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সাকিব আল হাসান বেশি ওভার বল করলেও উইকেট প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছিলেন মিরাজ। অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি খেলতে না পারলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। দলের একমাত্র অলরাউন্ডারের বোলিং-ব্যাটিংয়ের ঘাটতি মেটাতে হবে দু’জনকে দিয়ে। মিরাজ খেলতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটিং লাইনআপ ছোট হবে। কারণ দুই পেসারের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলবেন দু’জন। 

পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে হলে ব্যাটিং লাইনআপ হবে ছয়জনের। সাদমান ইসলামের সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত ওপেন করতে পারেন এ ম্যাচে। তিন নম্বরে মুমিনুল হক, চারে মুশফিকুর রহিম, পাঁচ নম্বরে লিটন কুমার দাস আর ছয়ে জাকের আলী অনিক। মিরাজ খেললে একাদশে নাঈমের জায়গা হবে না। সেক্ষেত্রে দলের লাভ ব্যাটিং লাইনআপ সাত নম্বর পর্যন্ত থাকবে। মিরাজ খেলেন বা নাই খেলেন গলে টেস্টের একাদশে তিনজন পেসার রাখার সুযোগ কম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ