যেসবের বিজ্ঞাপন দেখতে চান না

ধরুন, কোনো আত্মীয়ের শিশুর জন্য ডায়াপার প্রয়োজন। আশপাশে কোনো দোকান খোলা নেই, তাই অনলাইনে সার্চ করলেন। এর পর থেকে গুগল হোক, ফেসবুক হোক; যেখানেই সার্চ করছেন বিজ্ঞাপন হিসেবে সামনে আসছে সেই ডায়াপারের বিজ্ঞাপন। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। গুগল তার ব্যবহারকারীর সার্চের ওপর কড়া নজরদারি করে। যে বিষয়ে সার্চ করছেন, সেই পণ্যই চোখের সামনে আসতে থাকবে প্রতিদিন। ফলে কোনো জিনিস বারবার দেখতে না চাইলে সেসব গুগলে সার্চ না করাই শ্রেয়।

বেআইনি কিছু

শখের বশে কিংবা মজা করে হলেও গুগলে বেআইনি কিছু সার্চ করবেন না। ফোনকলের মতো ইন্টারনেটও এখন অপরাধী ধরার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এমনও হতে পারে, আপনি কোনো নির্দিষ্ট অপরাধের ‘অ’–ও জানেন না। কিন্তু আপনার সার্চ হিস্ট্রি ধরে খুঁজে সন্দেহভাজনের তালিকায় আপনাকেও রাখতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমনকি অপরাধীর সঙ্গে কিছু মিল দেখে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হতে পারে আপনাকে। এ ছাড়া বিশ্বের উন্নত কিছু দেশে বেআইনি কিছু সার্চ করলে ওই ব্যক্তিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখে। ফলে বেআইনি কিছু সার্চ না করাই উত্তম।

আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটি ব্যবহারের বিপদগুলোও জেনে রাখুন১৮ মে ২০২৫নিজের তথ্য

অনেকেই গুগলের কাছে নিজের তথ্য জানতে চান। বিশেষ করে এআই আসার পর নিজের ব্যাপারে জানতে চাওয়ার ইচ্ছা বেড়েছে অনেকেরই। কিন্তু তথ্য জানতে গিয়ে উল্টা তথ্য দিয়ে বসবেন না। যেমন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য যতটা সম্ভব নিজের কাছে রাখবেন।

ত্বকের রোগ

হাতে হয়তো কোনো কারণে ছোট ছোট র‌্যাশ উঠেছে, মনে হলো একবার দেখি তো গুগল করে এর কারণ কী। ব্যাস, এমন কিছু ছবি আপনার চোখের সামনে আসবে, যা রাতের ঘুম হারাম করে দিতে যথেষ্ট। ত্বকের রোগ হলে সর্বপ্রথম চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। গুগলে রোগ বা রোগের উপসর্গ সার্চ করে রাতের ঘুম হারাম করবেন না।

আরও পড়ুনচ্যাটজিপিটি ছাড়া আরও যেসব এআই টুল আপনার জীবন সহজ করবে০১ জুন ২০২৫যেকোনো রোগের ব্যাপারে

ছোটখাটো রোগের উপশম গুগলে মিলবে ঠিকই, তবে যেকোনো রোগবালাইয়ের সঠিক সমাধানের জন্য চিকিৎসকের কাছেই যান। কারণ, গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন আপনার রোগ তো শনাক্ত করতে পারবেই না, উল্টা রোগের ভুলভাল ওষুধ দিয়ে ব্যাপারটা জটিলতর করে তুলতে পারে। অসুস্থ হলে তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, গুগলের নয়।

মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে কোনো কিছুই গোপন থাকে না। আপনি যতই নিরাপত্তা মেনে ইন্টারনেট ব্যবহার করুন না কেন, আপনার প্রতিটি সার্চ, প্রতিটি ওয়েবসাইট ভিজিটের ইতিহাস জমা থাকে আর্কাইভে। সার্চ হিস্ট্রি ডিলিট করে কিংবা ইনকগনিটো মোডে গুগল সার্চ করলেও আদতে তা কোথাও না কোথাও লিপিবদ্ধ থাকেই। যে কারণে ইন্টারনেটে কোনো কিছু বলার আগে, সার্চ করার আগে সতর্কতার সঙ্গে করুন। আপনার একটি ভুল সার্চের মাশুল দিতে হতে পারে আপনার প্রিয়জনদেরও।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও পড়ুনইংরেজি শিখতে চ্যাটজিপিটি কাজে লাগাবেন কীভাবে১৫ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স র চ কর অপর ধ আপন র ব আইন

এছাড়াও পড়ুন:

বিচ্ছেদ কী বললেন আমির

বছর তিনেক আগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র বক্স অফিস ব্যর্থতার পর কার্যত লাপাত্তা হয়েছিলেন আমির খান। তবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নিজের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারে আবার সরব এই বলিউড তারকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সব সাক্ষাৎকারেই ঘুরেফিরে এসেছে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ। রিনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি। কিছুদিন আগেই গৌরি স্প্র্যাটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ সামানির পডকাস্টে হাজির হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। অকপটে স্বীকার করেছেন, রিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই হঠকারী।

আমির খান জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জীবনে সবচেয়ে বড় কোনো আফসোস আছে কি না, এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ও ছিল ১৯। আসলে আমি যেদিন আইনিভাবে বিয়ে করতে পারতাম, সেদিনই করেছি; ১৮ এপ্রিল। তবে এটা ভাববেন না, আমি বলছি রিনাকে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। আমি বলছি, সময়টা হয়তো সঠিক ছিল না। রিনার সঙ্গে আমার জীবনটা খুব ভালো কেটেছে। রিনা দারুণ একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে আমি মনে করি না এত ছোট বয়সে কারও এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা–ও আবার এমন তাড়াহুড়া করে।’ তখনই অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন আমির, আর তাঁদের বিয়ের বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন দুজন।

পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটা উদাহরণ। বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনাইদকে ওই বিয়ের মাধ্যমেই পেয়েছি। আমি ও রিনা ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’ আমির ও রিনার বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘আমি তখন সিনেমায় ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল রেড ফ্ল্যাগ। আমি একপ্রকার কাজের নেশায় বুঁদ ছিলাম,’ বলেন আমির।

আমির খান। এএফপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ