হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে এমন অভিযোগে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এ মামলায় বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সাব্বির মিয়া (২৫)। তিনি বাসটির চালক ও নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণে আরেক অভিযুক্ত ও চালকের সহকারী লিটন মিয়া (২৬) পলাতক। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।

এর আগে গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ভোক্তভোগী ওই ছাত্রী হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন ওই ছাত্রী। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে বাসে করে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জে তাঁর নামার কথা ছিল। তবে তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন; জেগে দেখেন শায়েস্তাগঞ্জ অতিক্রম করেছেন। পরে রাতে তিনি মহাসড়কটির শেরপুর এলাকায় নেমে পড়েন।

সূত্রগুলো আরও জানায়, একপর্যায়ে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের শেরপুর-নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে চলাচলকারী একটি লোকাল বাস পেয়ে এতে উঠে পড়েন। বাসটি রাত ১০টার দিকে আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ওই ছাত্রীকে তখন একা পেয়ে চলন্ত বাসেই ধর্ষণ করেন চালক সাব্বির ও তাঁর সহকারী লিটন। একপর্যায়ে বাসের ভেতর থেকে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। সড়কের এনাতাবাদ এলাকায় এলাকাবাসী বাসটিকে থামান। এ সময় তাঁদের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানান ওই ছাত্রী। এ পর্যায়ে লিটন পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হন সাব্বির। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং সাব্বিরকে গতকাল রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় আজ সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাঁকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে; পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ছ ত র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ, জনতার চাপে ‘মাফ চেয়ে’ এলাকা ছাড়ালেন ‘এমপি প্রার্থী’

ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলায় মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রায়হান জামিল নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু বিতরণের জন্য যে পরিমাণ মাছ তিনি এনেছিলেন, তার থেকে লোকসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হয়। সবাইকে মাছ দিতে না পেরে জনতার বিক্ষোভের মুখে কোনোরকমে এলাকা ছাড়েন তিনি।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। তিনি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ৪ আসনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এরই অংশ হিসেবে ‘জনগণের মন জয় করার জন্য’ তিনি ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়হান জামিল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ পরিচয় দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে সদরপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটান। তাতে তিনি লেখেন, ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেবেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ইলিশ দেওয়ার কথা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকাল থেকে শত শত মানুষ জাকের মঞ্জিল উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। বিতরণ শুরুর একপর্যায় মাছ ফুরিয়ে যায়। তখন মাছ নিতে না পারা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে রায়হান জামিল পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।

‘স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী’ পরিচয়ে ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ করতে যাওয়া রায়হান জামিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণ, জনতার চাপে ‘মাফ চেয়ে’ এলাকা ছাড়ালেন ‘এমপি প্রার্থী’
  • পুকুরে প্রাণ গেল চাচাত ভাই-বোনের