ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় এবং বিকিকিনিতে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। পণ্য কেনায় বাড়তি সুবিধা, সাশ্রয়ী দাম ও ভালো মান হওয়ায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে মডেলভেদে এলইডি টিভি ও মোবাইল ফোনে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১২ ও ৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন। অনলাইনে ওয়ালটন প্লাজা থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও এসব সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক।

ওয়ালটন প্লাজার অনলাইন ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেটর নাফিস ইশতিয়াক জানিয়েছেন, ওয়ালটন কখনোই অতিরিক্ত মুনাফার কথা চিন্তা করে না। সাশ্রয়ী মূল্য ও স্বল্প মুনাফায় বিশ্বমানের পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ওয়ালটনের উদ্দেশ্য। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন টিভি ও মোবাইল ফোন কেনায় বিশেষ ছাড় দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ঘরে বসেই ওয়ালটনপ্লাজা.

কম.বিডি (https://waltonplaza.com.bd/) ওয়েবসাইট থেকে টিভি ও মোবাইল ফোনসহ যেকোনো পণ্য সহজেই কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে আছে ওয়ালটন টিভি। ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর বাড়ছে টিভি বিক্রির পরিমাণ। এর কারণ—অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত ফিচার, উচ্চ গুণগত মান, আকর্ষণীয় আউটলুক, সাশ্রয়ী মূল্য, দেশের সর্বত্র সহজলভ্যতা এবং দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।

ওয়ালটন স্মার্ট টেলিভিশনে আছে ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গেমিং; মোবাইলে রক্ষিত অডিও, ভিডিও, ইমেজ ইত্যাদি উপভোগ; লার্জ ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল, হাই কন্ট্রাস্ট পিকচার, ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড, নয়েজ রিডাকশন ও আল্ট্রা স্লিম ডিজাইন। বাণিজ্য মেলায় নির্দিষ্ট মডেলের ৩২, ৪৩ ও ৫৫ ইঞ্চি টিভি কেনায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়া, ওয়ালটনের অরবিট সিরিজের ‘অরবিট ওয়াই৫০’ মডেলের ফোনসহ ওয়ালটনের নির্দিষ্ট মডেলের যেকোনো স্মাার্টফোন কেনায় গ্রাহকদের ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন। ‘অরবিট ওয়াই৫০’ মডেলের ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে এইচডি প্লাস রেজুলেশনের বিশাল পর্দা, ট্রিপল ব্যাক ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর, র‌্যাম-রমসহ নজরকাড়া সব ফিচার।

ওয়ালটন প্লাজা থেকে কেনাকাটায় পণ্যভেদে আছে কিস্তি সুবিধা, ডিসকাউন্টসহ জিরো ইন্টারেস্টে ইএমআই (ইক্যুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট) সুবিধা এবং ফ্রি হোম ডেলিভারি। অনলাইন থেকে কেনা ওয়ালটন পণ্যের মূল্য ক্যাশ অন ডেলিভারি, অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ আছে।

ঢাকা/মাহফুজ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ