সিলেটে ঘন কুয়াশার কারণে দেখতে না পেয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাপায় দুইজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 

সিলেট নগরীর চৌকিদেখী পেট্রোল পাম্পের সামনে বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই শ্রমিক হলেন- সিলেট মহানগরের শাহজালাল উপশহরের তেররতন এলাকার (সি ব্লক) বাসিন্দা সেলিম মিয়ার ছেলে মো.

জাহাঙ্গীর (২০) ও মাসুক মিয়ার ছেলে মো. লায়েছ মিয়া (৩৫)। তাদের দুজনেরই বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, রাতে চৌকিদেখি পেট্রল পাম্পের সামনে একটি ট্রাক থেকে রড নামানোর কাজ করছিলেন তারা। রাত ৩টার দিকে ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাদের চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অটোরিকশাটি জব্দ করে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। মরদেহ দুটি ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/নূর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ