অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুরকে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোচবিহারের দিনহাটায় কনসার্ট চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতের প্রথম সারির অধিকাংশ গণমাধ্যম।

প্রিয় শিল্পীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মোনালির ভক্ত-অনুরাগীরা। আবার কেউ কেউ তার অসুস্থতার খবর নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন। অবেশেষে মোনালি ঠাকুর নীরবতা ভাঙলেন; জানালেন নিজের শারীরিক অবস্থার ইতিবৃত্ত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মোনালি ঠাকুর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এ গায়িকা লেখেন,    “মিডিয়া এবং অন্য সকলে আমার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। আশা করছি, আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আমার শারীরিক অসুস্থতা সংক্রান্ত যাচাইবিহীন কোনো খবর শেয়ার না করার অনুরোধ জানাতে এটা লিখছি।”

আরো পড়ুন:

পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার কারাদণ্ড

‘ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার আগে, আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাই’

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরটি ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে মোনালি ঠাকুর লেখেন, “সবার ভালোবাসা ও উদ্বিগ্নতা দেখে সত্যি আমি আনন্দিত। কিন্তু এটাও পরিষ্কার করতে চাই যে, আমার শ্বাসকষ্টজনিত কোনো সমস্যা নেই এবং আমি হাসপাতালেও ভর্তি হইনি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা।”

শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করে মোনালি ঠাকুর বলেন, “ভাইরাল সংক্রমণ/ ফ্লু থেকে সেরে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায়, সম্প্রতি শরীরিকভাবে খারাপ বোধ করছিলাম। যার ফলে এটি (ফ্লু) আবারো ফিরে আসে। ফ্লাইটের সময়ে সাইনাস-মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা হয়। এটুকুই।”

মোনালি ঠাকুর এখন মুম্বাইয়ে বাসায় অবস্থান করছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে এই গায়িকা লেখেন, “আমি মুম্বাইতে ফিরে এসেছি। বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছি, বিশ্রাম নিচ্ছি এবং সেরে উঠছি। খুব দ্রুত আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠব।”

মোনালি ঠাকুরের বাবা ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক শক্তি ঠাকুর। বাবার পথ অনুসরণ করে একই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি ঠাকুর।

তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। তা ছাড়া বলিউডের বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন মোনালি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র খবর

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ