খুলনার প্রতিশোধে শেষ বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব
Published: 23rd, January 2025 GMT
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালে রাখার পর দারুণ ব্যাটিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে সহজে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। দুর্দান্ত জয়ে মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে তারা।
দুই দলের প্রথম দেখায় সিলেটে সিলেট স্ট্রাইকার্স জিতেছিল ৮ রানে। এবার খুলনা ৬ উইকেটের জয়ে আধিপত্য দেখাল। তাদের এই জয় এবং সিলেটের আরেকটি হার দিয়ে বিপিএলের এবারের আসরের চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হলো।
হাতে উইকেট থাকলেও ম্যাচটায় শেষ পর্যন্ত লড়াই হয়েছে। জয়ের জন্য খুলনার শেষ ৬ বলে ৫ রান লাগত। প্রথম বলে বোসিস্তো এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। পরের বলে রস ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেননি। ডট হয়। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে তিনি প্রান্ত বদল করেন। চতুর্থ বলে বোস্তিতো ডট খেললে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়।
আরো পড়ুন:
ব্যাটিং ছায়া থেকে বেরিয়ে বোলিং আনন্দে বার্ল
২ ওভারে ৩৯, বাকি ১৮ ওভারে ১১৩!
শেষ ২ বলে সমীকরণ নেমে আসে ৩ রানে। সিলেটের ডাগআউটে ছিল রোমাঞ্চ। খুলনার উৎকণ্ঠা। পঞ্চম বলে সেই উৎকন্ঠাকে আনন্দে পরিণত করেন বোসিস্তো। টপলির লেন্থ বল মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা হাঁকান। তাতে এক বল আগে জয় নিশ্চিত হয় খুলনার।
অবশ্য ম্যাচটা এতদূর গড়াত কিনা সেটাই প্রশ্নের। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৭০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। চাইলেই দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন। কিন্ত নিহাদুজ্জামানকে স্লগ সুইপে উড়াতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন। তার বিদায়ের পর চাপে পড়েছিল খুলনা। কিন্তু মাহিদুলের ১৭, রসের ২০ ও বোসিস্তোর ১৯ রানে খুলনার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এর আগে সিলেট রান করে কেবল দুই ওভারে। বাকিটা সময়ে খেলেছে নিরাপদ ক্রিকেট। রীতিমতো দুই ওভারে তাণ্ডব তুলেছিলেন জর্জ মুনসে। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের করা পঞ্চম ওভারে মুনসে ২৩ রান তুলেছিলেন। চারটি চারের পর একটি ছক্কা। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে হাসান মাহমুদকে দুই চার ও এক ছক্কা হাঁকান স্কটিশ ক্রিকেটার। স্কোরবোর্ডে আরও ১৬ রান। এই দুই ওভারে ৩৯ রান পায় সিলেট। অথচ বাকি ১৮ ওভারে তারা যোগ করতে পারে কেবল ১১৩ রান!
৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে মুনসে যখন আউট হন তখনও বড় স্কোরের আশা ছিল সিলেটের। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা ওই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। তার আউটের পর ওভারে দশ রান আসেনি একটিতেও।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৪৪ রান করেন জাকির হাসান। ৪টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান জাকির। রনি তালুকদার ইনিংসের প্রথম ওভারে শূন্যরানে আউট হওয়ার পর ৭৪ রানের জুটি গড়েন মুনসে ও জাকির। তাদের ব্যাটেই বড় স্কোরের আশা টিকে ছিল সিলেটের। কিন্তু মিডল ও লেট অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যান ভালো করতে না পারায় স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হয়নি।
শেষ আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল সুমন খান (১২) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছিলেন। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজেটেই হাল ছেড়ে দেন। খুলনার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার, হাসান মাহমুদ ও সালমান এরশাদ।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস
পুঁজিবাজারে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেডের পরিচালনার পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য মতে, লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাইব্রড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর।
২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৭৮ টাকা।
এদিকে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে (৪৩.৪৪) টাকা হয়েছে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল (১৪.৫০) টাকা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩.২৭ টাকায়।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্য সীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা