নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ‌্য নাগালে রাখার পর দারুণ ব‌্যাটিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে সহজে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। দুর্দান্ত জয়ে মধুর প্রতিশোধও নিয়েছে তারা।

দুই দলের প্রথম দেখায় সিলেটে সিলেট স্ট্রাইকার্স জিতেছিল ৮ রানে। এবার খুলনা ৬ উইকেটের জয়ে আধিপত‌্য দেখাল। তাদের এই জয় এবং সিলেটের আরেকটি হার দিয়ে বিপিএলের এবারের আসরের চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হলো।

হাতে উইকেট থাকলেও ম‌্যাচটায় শেষ পর্যন্ত লড়াই হয়েছে। জয়ের জন‌্য খুলনার শেষ ৬ বলে ৫ রান লাগত। প্রথম বলে বোসিস্তো এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। পরের বলে রস ব‌্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেননি। ডট হয়। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে তিনি প্রান্ত বদল করেন। চতুর্থ বলে বোস্তিতো ডট খেললে ম‌্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়।

আরো পড়ুন:

ব্যাটিং ছায়া থেকে বেরিয়ে বোলিং আনন্দে বার্ল

২ ওভারে ৩৯, বাকি ১৮ ওভারে ১১৩!

শেষ ২ বলে সমীকরণ নেমে আসে ৩ রানে। সিলেটের ডাগআউটে ছিল রোমাঞ্চ। খুলনার উৎকণ্ঠা। পঞ্চম বলে সেই উৎকন্ঠাকে আনন্দে পরিণত করেন বোসিস্তো। টপলির লেন্থ বল মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা হাঁকান। তাতে এক বল আগে জয় নিশ্চিত হয় খুলনার।

অবশ‌্য ম‌্যাচটা এতদূর গড়াত কিনা সেটাই প্রশ্নের। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৭০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। চাইলেই দায়িত্ব নিয়ে ম‌্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন। কিন্ত নিহাদুজ্জামানকে স্লগ সুইপে উড়াতে গিয়ে সীমানায় ক‌্যাচ দেন। তার বিদায়ের পর চাপে পড়েছিল খুলনা। কিন্তু মাহিদুলের ১৭, রসের ২০ ও বোসিস্তোর ১৯ রানে খুলনার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

এর আগে সিলেট রান করে কেবল দুই ওভারে। বাকিটা সময়ে খেলেছে নিরাপদ ক্রিকেট। রীতিমতো দুই ওভারে তাণ্ডব তুলেছিলেন জর্জ মুনসে। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের করা পঞ্চম ওভারে মুনসে ২৩ রান তুলেছিলেন। চারটি চারের পর একটি ছক্কা। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে হাসান মাহমুদকে দুই চার ও এক ছক্কা হাঁকান স্কটিশ ক্রিকেটার। স্কোরবোর্ডে আরও ১৬ রান। এই দুই ওভারে ৩৯ রান পায় সিলেট। অথচ বাকি ১৮ ওভারে তারা যোগ করতে পারে কেবল ১১৩ রান!

৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে মুনসে যখন আউট হন তখনও বড় স্কোরের আশা ছিল সিলেটের। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা ওই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। তার আউটের পর ওভারে দশ রান আসেনি একটিতেও।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৪৪ রান করেন জাকির হাসান। ৪টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান জাকির। রনি তালুকদার ইনিংসের প্রথম ওভারে শূন্যরানে আউট হওয়ার পর ৭৪ রানের জুটি গড়েন মুনসে ও জাকির। তাদের ব্যাটেই বড় স্কোরের আশা টিকে ছিল সিলেটের। কিন্তু মিডল ও লেট অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যান ভালো করতে না পারায় স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হয়নি।

শেষ আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল সুমন খান (১২) দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছিলেন। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজেটেই হাল ছেড়ে দেন। খুলনার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার, হাসান মাহমুদ ও সালমান এরশাদ।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দি‌লেন মেজর (অব.) আ

বিএনপির সা‌বেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলা‌দেশ জামায়াতে ইসলামী‌তে যোগদান ক‌রে‌ছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দ‌লের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ ক‌রার মধ‌্য দি‌য়ে আনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে তিনি জামায়া‌তে যোগ দেন। 

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

দল‌টি‌তে যোগ‌ দি‌য়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।

ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দি‌য়ে বরণ ক‌রেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএন‌পিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরু‌দ্ধে মন্তব‌্য করাসহ নানা ‌বিত‌র্কিত কর্মকা‌ণ্ডের জন‌্য তিনি আলোচিত হন।  

বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ