ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যানবাহন। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকামুখী ও মাওয়ামুখী লেনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এসব দুর্ঘটনায় বাস, প্রাইভেটকারসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, শুক্রবার ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে এক্সপ্রেসওয়ে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিলো যানবাহনগুলো। ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকামুখী লেনে ২টি ও মাওয়ামুখী লেনে ১টি দুর্ঘটনা ঘটে। 

তিনি আরো জানান, পেছন থেকে একটি বাস অপর বাসকে এবং প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ১২ জন। তাদের উদ্ধার ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কারো অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়।

ঢাকা/রতন/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসব দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ