রাজপথে নেমেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তাদের দাবি একটাই-‌‘পে-স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি।’ এই দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।

২৪ জানুয়ারি ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। হাজার হাজার শিক্ষককে সেখানে দেখা যায়। বিশেষ করে ঢাকা ও আশপাশের জেলার শিক্ষকরাই সমাবেশ ভরে তোলেন।

সমাবেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে সরকারের কাছে একই দাবি রাখেন। তারা চান পে-স্কেলের দশম গ্রেডে উন্নীতি করা হোক তাদের চাকরি।

আরো পড়ুন:

নৈতিক শিক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ হবে: আরএমপি কমিশনার

৪৭তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ল

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনিও তার বক্তব্যে প্রাথমিকের শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেন।

এ সময় স্লোগানে স্লোগানে শহীদ মিনার এলাকা মুখর করে তোলেন শিক্ষকরা।

তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী হিসেবে জাতি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষকদের ওপর। এই পরিহাস থেকে তারা পরিত্রাণ চান। মিছিলের স্লোগানে উঠে আসে সেই দাবি।

এই দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার যমুনার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে তাদের শাহবাগে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হচ্ছে শিক্ষকদের।

ঢাকা/রায়হান/রাসেল/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র র শ ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ