মাটিতে পড়ে আছে রাজ্যের পাতা। সেখান থেকে একটি পাতা হাতে তুলে নেয় আকিব। দেখে পাতার রং হলুদ।
পাতা হাতে নিয়ে দেখে চিনতে পারে সে। হ্যাঁ, আমাদের জাতীয় গাছ আমগাছ, এটি আমপাতা। এখানে তো কোনো আমগাছ দেখছি না কোথায় থেকে এলো আমপাতা।
পাতা হাতে নিয়ে হাঁটছে। কিছু পথ যেতেই দেখতে পেল ঝর ঝর করে ঝরছে পাতা। হালকা বাতাসে ঝরে পড়ার মতো পরিবেশ। পাতাগুলো ঝরে পড়ে।
ঝর ঝর ঝর ঝর.
আকিবের শরীরে দোলা দিয়ে গেল হালকা হাওয়া। হালকা হাওয়ার পরশে ভালো করে দেয় আকিবের মন।
হাঁটতে থাকে, শুনতে থাকে ঝর ঝর ঝর ঝর।
খোলা আকাশের নিচে আপন মনে হাঁটছে। হঠাৎ দেখতে পেলো ঘূর্ণি বাতাস গোল হয়ে ঘুরছে। বাতাসের সঙ্গে পাতাগুলো উড়ছে। বাতাস মিলে যাওয়া পাতাগুলো ছড়িয়ে পড়ে। বোঁটা নরম হলে পাতা ঝরে যায়। ঝরাপাতা উড়ে যায়।
যে পাতার রং সবুজ সেই পাতা সহজে ঝরে না। বোঁটা ও ডাল আকড়ে ধরে তৈরি করে জীবনের সবুজ রং। সময় তাকে হলুদ করে দেয়। করে দেয় ঠিকানাহীন। কেউ ঘূর্ণিঝড়ে ওড়ে। কেউ আগুনে পোড়ে। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে মাটিতে মিশে যায়। পাতা ঝরে যায়। ঝর ঝর ঝর...।
আবার নতুন পাতা গজায়।
এটাই পাতাদের নিয়ম। মানুষের জীবনেরও এমন নিয়ম? হয়তো তাই! v
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লিওনেল মেসির আজ জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে
শুরুটা হয়েছিল একটা স্যুটকেস থেকে কিংবা একটা ন্যাপকিন পেপার অথবা একটা বাইসাইকেল থেকে। সেসব তখন ছিল বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। ধীরে ধীরে ঘটনাগুলো জোড়া লেগে রূপান্তরিত হলো একটা পূর্ণাঙ্গ গল্পে। স্মৃতির সেসব পাথরখণ্ড এখন গল্পের জগৎ পেরিয়ে মিথ বা কিংবদন্তিতে রূপ নিয়েছে। কে জানে, হয়তো কোনো এক মনোরম মনোটোনাস সকালে কফির মগ হাতে মনে মনে সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন রূপকথার সেই মহানায়ক, যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই অনবদ্য গল্পগাথা।
রূপকথার সেই গল্পের মহানায়কের নামটা যে লিওনেল মেসি, তা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। আজ ৩৮তম জন্মদিনে মেসি কি আরেকবার সেসব রূপকথার দিকে ফিরে তাকাবেন? হয়তো তাকাবেন, হয়তো না। কিন্তু আমরা তো কাঁটায় হেঁটে মুকুটের সন্ধান পাওয়া সেই গল্পটার দিকে ফিরে তাকাতেই পারি।
একজন মানুষের দেবদূত হয়ে ওঠার যাত্রাটা আরেকবার দেখে নিয়ে বলতে পারি, ‘এমন মানবজনম আর কি হবে।’ নাহ, এমনটা সব সময় হয় না। কখনো কখনো হয়, কদাচিৎ কেউ কেউ আসেন প্রকৃতির বর নিয়ে। যাঁর হাতে প্রকৃতি তুলে দেয় হ্যারি পটারের সেই জাদুর ছড়ি, যা মুহূর্তেই মাটিকে বদলে দিতে পারে হীরকখণ্ডে।
আরও পড়ুনফ্রি–কিকের সময় কী ভাবেন মেসি? গোল হয় কোন কৌশলে২১ জুন ২০২৫‘মেসি’ নামের এই মহাকাব্যটা লেখা শুরু হয়েছিল ৩৮ বছর আগে আজকের এই দিনে। কিন্তু এই গল্প যেন আর কখনোই শেষ হওয়ার নয়। অনন্তকাল ধরে বিনি সুতার মালায় গাঁথা হতে থাকবে সেই গল্পটা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বয়ে বেড়াবে এক অলৌকিক জাদুকরের গল্প, যে গল্পে একজন মানুষ ভীষণ কঠিন এক লড়াই শেষে পান করবেন অমরত্বের সঞ্জীবনী।
কিন্তু অমরত্বের পর আর কী? আর্জেন্টাইন সাহিত্যিক রবার্তো ফুনতানারোজার ‘এন আর্জেন্টাইন’স হেভেন’ নামক গল্পে একদল মানুষ মৃত্যুর পরে কীভাবে ফুটবল খেলা দেখার মধ্য দিয়ে স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন সেটা দেখিয়েছিলেন। ফুটবলীয় সেই স্বর্গ কাতারে আড়াই বছর আগেই পেয়ে গেছেন মেসি। আঙুলের ইশারায় পুরো পৃথিবীকে একাই নাচিয়ে তুলেছিলেন ট্যাঙ্গোর তালে। কিন্তু এরপর? অমরত্বের পর সত্যিই কি কিছু থাকে? হ্যাঁ থাকে। অমরত্বের পর থাকে উপভোগ। অমরত্বের পর থাকে বয়ে যাওয়া।
বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে লিওনেল মেসি