যশোরের ঝিকরগাছায় প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় সাকিব হোসেন (২৭) নামে এক ছাত্রদল নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কৃর্তিপুর মোড়ে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়লে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ফাহিম বিশ্বাস (২৬) নামে আরও এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ফাহিম যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত সাকিব জেলা ছাত্রদলের ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও ঝিকরগাছার মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত সাকিব ও ফাহিম প্রাইভেটকারে যশোর থেকে ঝিকরগাছায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলার কৃর্তিপুর মোড়ে পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটি খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে সাকিবের মৃত্যু হয়। আর গুরুতর অবস্থায় ফাহিমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, পুরো গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। যেভাবে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে ধারণা করছি অতিরিক্ত গতিতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকাতে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে। আর আহত যুবক যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ছ ত রদল ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ