বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অবৈধভাবে শিকার করে আটকে রাখা প্রায় ১২০০ ঝুট শালিক পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামে বিলে অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী। 

তবে অভিযানে শিকারিকে আটক করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পাখি শিকারি ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, শীতের মৌসুমে ঘের-বিলে পাখির কোলাহল বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে এক শ্রেণির লোভী পাখি শিকারি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখি শিকারের তথ্য পেয়ে আমরা গাওলা লোকালয় সংলগ্ন বিলে অভিযান পরিচালনা করি। একটি মৎস্য ঘেরের অস্থায়ী ঘরের মধ্যে বিশেষ জালে আটকে রাখা ১২০০ ঝুট শালিক পাখি পাই। পরে আমরা পাখিগুলো অবমুক্ত করি। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি শিকারিরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পৌঁছাতে দেরি হলে পাখিগুলো হয়ত পাচার হয়ে যেত। পাখি শিকারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে নিয়মিত মামলা হবে এবং এদের আটকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ