শিকারির ফাঁদে আটকা ১২০০ পাখি অবমুক্ত
Published: 25th, January 2025 GMT
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অবৈধভাবে শিকার করে আটকে রাখা প্রায় ১২০০ ঝুট শালিক পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামে বিলে অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী।
তবে অভিযানে শিকারিকে আটক করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পাখি শিকারি ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, শীতের মৌসুমে ঘের-বিলে পাখির কোলাহল বেড়ে যায়। আর এই সুযোগে এক শ্রেণির লোভী পাখি শিকারি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখি শিকারের তথ্য পেয়ে আমরা গাওলা লোকালয় সংলগ্ন বিলে অভিযান পরিচালনা করি। একটি মৎস্য ঘেরের অস্থায়ী ঘরের মধ্যে বিশেষ জালে আটকে রাখা ১২০০ ঝুট শালিক পাখি পাই। পরে আমরা পাখিগুলো অবমুক্ত করি। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি শিকারিরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পৌঁছাতে দেরি হলে পাখিগুলো হয়ত পাচার হয়ে যেত। পাখি শিকারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে নিয়মিত মামলা হবে এবং এদের আটকের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমের ক্রেতা নেই অর্ধেক দামে বিক্রি
নাটোরের লালপুরে আমের দামে ধস নেমেছে। ক্রেতা না থাকায় গত বছরের তুলনায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। আমচাষি ও বাগান ব্যাপারীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন অনেকেই।
নাটোরের সবচেয়ে বড় আমের বাজার আহমেদপুর ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমণ লক্ষ্মণভোগ ৪৫০-৫০০ টাকা, হিমসাগর ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, আম্রপালি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ল্যাংড়া ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, হাঁড়িভাঙা ১৫০০-১৬০০ টাকা, গুটি আম ৫০০-৫৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এসব আম দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
রোববার আহমেদপুর বাজারে মেসার্স রউফ ট্রেডার্সের মালিক হাজী আব্দুর রউফ সমকালকে বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ভালো থাকলেও ১০ দিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আহমেদপুর বাজার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিমসাগর ৩০-৩৫ টাকা, লক্ষ্মণভোগ ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি দাম আরও কম। এত কম দামে আম বিক্রি করলে লাভ দূরের কথা বাগান কেনার টাকাও উঠবে না বলছেন ব্যাপারীরা।
চলতি বছর ওয়ালিয়া গ্রামের আম ব্যবসায়ী শুভ আলী ৮০ হাজার টাকা ঋণ ও জমানো টাকাসহ মোট ৫ লাখ টাকায় ১০টি বিভিন্ন জাতের আমের বাগান কিনেছেন। শুরুতে মোটামুটি ভালো দামে আম বিক্রি করেছেন। ১০ দিনের ব্যবধানে দাম ও চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রি প্রায় বন্ধ।
শুভ আলী আক্ষেপ করে বলেন, আম পেকে পড়ে যাচ্ছে। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে গাছ থেকে পাড়তে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে লাভতো হবেই না, উল্টো ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।
ব্যবসায়ী ইনছার আলী বলেন, গত বছর এক কেজি পাকা হিমসাগর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে। এবার সেই আম ৩০-৩৫
টাকা দরেও বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাজারে আমের চাহিদা নেই।
আম বাগানী সোহেল রানা ও শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ দিন আগে যে বাগান ৫০ হাজার টাকা দাম ছিল, এখন সেই বাগানের দাম বলছে ২০-২৫ হাজার টাকা। তারপরেও বাগান কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। অব্যাহত লোকসানের কারণে অনেক চাষি আবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে ক্ষোভে বাগান কেটে ফেলছেন। বিদেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ না নিলে আম চাষে সুদিন ফিরবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ঈদ ও গরমের কারণে সব জায়গায় আমের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম বাড়বে।