কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারীর আস্তানা থেকে নারী-শিশুসহ মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ সময় এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। শনিবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়। 

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টেকনাফ কন্টিনজেন্টের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন– বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক ১৭ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে জিম্মি করেছে পাচারকারীরা। এ সময় টেকনাফ নৌবাহিনীর একটি দল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। মানব পাচারকারী আলী আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ও ১৪ জন রোহিঙ্গা। উদ্ধার ১৭ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌবাহিনী উদ্ধার হওয়াদের সঙ্গে এক দালালকে থানায় সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ

নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।

শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ