তিন সাঁওতাল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 25th, January 2025 GMT
গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে হামলা, লুটপাট ও হত্যা মামলায় সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ গাইবান্ধা শাখার উদ্যোগে শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সম্প্রতি ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তির দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে তীর-ধনুকসহ ফেস্টুন নিয়ে সাঁওতালরা অংশ নেন।
২০১৬ সালের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১০ বছরেও হত্যার বিচার হয়নি। নির্যাতনের শিকার সাঁওতালরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নতুন করে বাড়িতে আক্রমণ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যাকাণ্ডের পর থমাস হেমব্রম ৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। কিন্তু বিচার হওয়া তো দূরের কথা, মূল আসামিদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ইক্ষু খামারে সাঁওতালদের বসবাসকৃত ১ হাজার ৮৪২ একর পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার ব্যাপারেও অগ্রগতি হয়নি।
রাজাবিরাট এলাকায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লির ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।
মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।
বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ