গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে হামলা, লুটপাট ও হত্যা মামলায় সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ গাইবান্ধা শাখার উদ্যোগে শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সম্প্রতি ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তির দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে তীর-ধনুকসহ ফেস্টুন নিয়ে সাঁওতালরা অংশ নেন।
২০১৬ সালের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১০ বছরেও হত্যার বিচার হয়নি। নির্যাতনের শিকার সাঁওতালরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নতুন করে বাড়িতে আক্রমণ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যাকাণ্ডের পর থমাস হেমব্রম ৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। কিন্তু বিচার হওয়া তো দূরের কথা, মূল আসামিদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ইক্ষু খামারে সাঁওতালদের বসবাসকৃত ১ হাজার ৮৪২ একর পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার ব্যাপারেও অগ্রগতি হয়নি।
রাজাবিরাট এলাকায় আদিবাসী সাঁওতাল পল্লির ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল প্রমুখ।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ