পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ৩০ জন নিহত
Published: 26th, January 2025 GMT
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে তিনটি পৃথক সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। রোববার এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘আরব নিউজ পাকিস্তান’ এ তথ্য জানায়।
এর আগে শনিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপর একটি অভিযানে ১৮ জন খোয়ারিজ নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে। কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অপর এক অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। সেখানে ৮ জন খোয়ারিজ নিহত হয়।
তৃতীয় অভিযানে খাইবার জেলার বাগের এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ৪ জন খোয়ারিজকে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে রিং নেতা আজিজ উর রহমান ওরফে ক্বারি ইসমাইলও ছিলেন। এই অভিযানে আরও দুই জঙ্গি আহত হয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং নিরীহ নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালান। অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা