হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত দিপু হত্যা মামলায় ৬ জন গ্রেপ্তার
Published: 27th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে সংঘর্ষে নিহত কাজী দিপু হত্যা মামলার ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪০), মো. গাজিউর রহমান (৩০), মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালেক মিয়া (৩২), মোহাম্মদ আলী ওরফে অলি উদ্দিন (৩৫), মো. ইদু মিয়া (৫০), মো. সিজিল মিয়া (৩৬)।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ই-মেইলে প্রেসবার্তায় এসব তথ্য দেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো.
এর আগে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি এলাকা থেকে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে সংঘর্ষে ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে কাজী দিপু (৪০) নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ১৫ জন। পরে কাজী দিপুর ভাই কাজী সজলু বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালনী গ্রামের ফরিদ মিয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্ত মিয়ার গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজন একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৬ জন আহত হন। এরমধ্যে ফরিদ মিয়ার পক্ষের কাজী দিপুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।