বলিউড নবাব সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় নিত্য নতুন তথ্য সামনে আসছে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীর সঠিক পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, হামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক। যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বেশ।

এবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এই মামলায়। প্রশ্ন উঠেছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সাইফ আলী খানের হামলাকারী? এদিকে সাইফের ওপর হামলার সন্দেহে ভুলবশত আটক করা ব্যক্তি আকাশ কানোজিয়ার জীবন এখন দূর্বিষহ! চাকরি হারিয়েছেন, বিয়েও ভেঙে গেছে তার।

সম্প্রতি অভিনেতার হামলাকারী হিসেবে একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যার নাম আকাশ কানোজিয়া। ৩১ বছর বয়সী আকাশ কৈলাস কানোজিয়াকে ভুলবশত ধরেছিল মুম্বাই পুলিশ।

তারপর তার জীবন একদম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সাইফের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর তার অতীত বর্তমান সব শেষ হয়ে গেছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে! তার জীবনে যে দুর্ভোগ এভাবে নেমে আসবে তিনি ভাবতেও পারেননি। 

ভারতীয় গণমাধ্যমকে আকাশ বলেন, ‘একটা জিনিষ পুলিশ কী করে তাহলে ভুলে গেল, এবং তাদের নজরে পড়ল না যে আমার একটা গোঁফ আছে! যেখানে, সেই ব্যক্তি যিনি সাইফ আলী  খানকে আক্রমণ করেছিলেন, তার গোঁফ দাঁড়ি কিছু নেই। আমায় এভাবে কেন আটক করা হল? তার থেকেও বড় কথা, আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল।’ 

জানা গেছে বিলাসপুরের আকাশ মুম্বাই এসেছিলেন তার হবু স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এখন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জীবনে।

তিনি জানিয়েছেন, ‘আরপিএফ পার্সোনাল শুধু আমায় গ্রেপ্তার করেননি। বরং প্রেস রিলিজ দিয়ে আমার ছবি দিয়ে সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হল।

টিভি চ্যানেল থেকে মিডিয়া সর্বত্র আমায় দেখানো হল। এবং এর ফলস্বরূপ আমার সঙ্গে মেয়ের বাড়ির লোক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। তারা বিয়েটা ভেঙে দিয়েছে এবং আমার কাজটাও চলে গিয়েছে। আমি এখন পুরো ফাঁকা হাত। কেমন যেন ওলটপালট হয়ে গেল জীবনটা!’
ভুক্তভোগী আকাশ হতাশ হয়ে পড়েছেন এই ঘটনায়। তিনি পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছিলেন যেন, সবকিছু ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়। তারপরেও পুলিশ শোনেননি।

এদিকে সাইফের ওপর হামলার সন্দেহে আটক শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সদ্যই সাইফের ঘটনায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সাইফ আলী খানের হামলাকারী? ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনও মিল নেই। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। বলা হচ্ছে, সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ শরিফুলই সাইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো? আপাতত মুম্বাই পুলিশও ব্যস্ত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ