সিদ্ধিরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়েছে ৫টি বসতবাড়ি ও ৩টি দোকান। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ভোরে দক্ষিণ কদমতলী নোয়াপাড়া এলাকায় মনিরের ভাড়াটিয়া বাসায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আদমজী নগর ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরআগেই বসতবাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরের টিভি, ফ্রিজ ও আসবাবপত্রসহ এবং দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটে তা জানা যায়নি। 

এ বিষয়ে আদমজী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মিরন মিয়া জানান, আমরা ভোর পাঁচটা পাঁচে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই।

আমাদের দুটি ইউনিট প্রায় ঘন্টা খানিক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটিও প্রাথমিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের বাড়িতে লুট-আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হত্যা মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে বাদীপক্ষের তিনটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ৮৭ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দেওড়া গ্রামের সোয়া শতক সরকারি জায়গার দখল নিয়ে তিন-চার বছর ধরে দানা মিয়া ও শিপন মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গ্রামবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর জেরে গত ১৫ ও ২৩ নভেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার দুই দিনে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হত্যার পর আসামিপক্ষের অন্তত ১০টি বাড়িতেও ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

২৩ নভেম্বরের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে দানা মিয়ার পক্ষের বৃদ্ধ আরফজ আলী (৬০) নিহত হন। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এর আগে ১৫ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করে।

গত সোমবার উচ্চ আদালত থেকে হত্যা মামলার ১৭ জন আসামি জামিন পান। তাঁদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাতে বাদীপক্ষের আবদুল মন্নাফ ও তাঁর দুই ভাই আবদুল হান্নান এবং আবদুস সত্তরের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় আবদুল হান্নানের মেয়ে লাকি আক্তার বাদী হয়ে আজ ভোরে গ্রামের ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জেলা সদর থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনের ফোর্স নিয়ে আমরা গ্রামে অভিযান চালিয়েছি। বুধবার রাতেও অভিযান করেছি। কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের বাড়িতে লুট-আগুন দেওয়ার অভিযোগ