ইতোমধ্যে রেলের কর্মীদের ওভারটাইমের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে যদি আরও কোনো যৌক্তিক কিছু আসে, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না। মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলওয়ে উপদেষ্টা বলেছেন রেলের বরাদ্দের জন্য আপনার মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখন আপনি যেটা করবেন সেটাই। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রেলের কর্মচারীদের কিছু দাবি ছিল, আমরা বেশ কয়েকদিন আগেই যৌক্তিক দাবি দিয়ে দিয়েছি। তারপরও তারা কেন করেছে এটা তাদের ব্যাপার। 

তিনি বলেন, প্রত্যেকের একাধিক দাবি দেওয়া থাকে। তারা বলেছে এই দিতে হবে, ওভারটাইম এলাও করতে হবে। আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা করেছি। যেভাবে দেওয়ার আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় মোটামুটি যেটা যৌক্তিক ছিল সে সুবিধা আমরা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এখন অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। আমার এখানে যদি আসে যৌক্তিক কিছু থাকলে, অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না। মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আগে কত বরাদ্দ দিয়েছেন, নতুন করে কত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন যেগুলো করেছে, অন্য লোকেদের একই দাবি আছে। অতএব রেলের জন্য আলাদা করে আমি বলব যে তোমাদের জন্য আমি দেখলাম.

.। ওরা যেটা বলেছে ওভারটাইমের ইস্যু এসেছিল, সেটা আমরা সলভ করেছি। 

তিনি বলেন, এখন যদি বলে পেনশন গ্রাচুইটি যোগ করতে হবে। তো অন্যান্য সংস্থার তো আরও অনেক দাবি আছে। 

এখন যেসব দাবি-দাওয়া নিয়ে রেল বন্ধ করে দিয়েছে, এটির কি হবে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা রেলওয়ে উপদেষ্টা বলবেন। 

বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৈঠকে চাল, চিনি, মসুর ডাল, সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জিনিসগুলা যাতে রোজার আগে বা রোজার চলাকালীন, এমনকি রোজার শেষেও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।

তিনি বলেন, এখানে বাজারের সাপ্লাইয়ের অন্য বিষয় আছে। আমরা আনার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেখানে মার্কেট মনিটরিংয়ের ব্যাপার আছে। শুধু আনলেই হবে না। সময় মত ঠিক ভাবে যায় কিনা দেখতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ল য গ য গ বন ধ ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ