নজর কাড়ছে ৭৩ কেজির মেটে আলু, ৬ ফুট কচু
Published: 28th, January 2025 GMT
কেশবপুরের টিটাবাজিতপুরের কৃষক নূর ইসলাম। তিনি প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু এনেছেন সাগরদাঁড়ীর মধুমেলায়। এর সঙ্গে সেলফি ওঠাতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা। এ ছাড়া বিশাল আকৃতির মেটে আলু, বড় মিষ্টিকুমড়া, হাজারী কলার কাঁদি, বারোমাসি কাঁঠালসহ তিন শতাধিক কৃষিপণ্য মধুমেলায় দর্শনার্থীর নজর কেড়েছে।
বিভিন্ন বীজ দিয়ে তৈরি কেশবপুর উপজেলার মানচিত্রসহ ফসল উৎপাদনের দৃশ্য সবাই ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন। কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়ীতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু হয়েছে। এর একাংশে উপজেলা কৃষি দপ্তর আয়োজন করেছে কৃষি ও প্রযুক্তিমেলা।
সরেজমিন দেখা গেছে, মেলায় প্রদর্শনের জন্য সুজাপুর গ্রামের কৃষক দেবু দাস ৭৩ কেজি ওজনের মেটে আলু এনেছেন। সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোরশেদুল ইসলামের ৪৫ ইঞ্চি প্রস্থ ও ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া এবং হাজরাকাটির জাহাঙ্গীর আলম এনেছেন ১০ কেজি ওজনের স্কোয়াশ। আলতাপোল গ্রামের মতিয়ার রহমানের গ্রীষ্মকালীন পাঁচটি পেঁয়াজের ওজন এক কেজি।
মেলায় বস্তায় আদা চাষ, ভার্মি কম্পোস্ট, ট্রাইকো কম্পোস্টসহ বিভিন্ন কৃষিপ্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কলাগাছি গ্রামের ইসরাফিল হোসেন বলেন, এবার মধুমেলায় ব্যতিক্রম আয়োজন কৃষিমেলা। বিভিন্ন কৃষিপণ্য দেখে ভালো লেগেছে। বলা যেতে পারে, মেলার ভেতর আরেক মেলা।
বাবা-মায়ের সঙ্গে যশোর থেকে প্রথমবারের মতো মধুমেলা দেখতে এসেছিল শিক্ষার্থী আবির বিন হেলাল। সে জানায়, ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া ও ছয় ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু দেখে ভালো লেগেছে। এ ছাড়া অন্য কৃষিপণ্যও পছন্দ হয়েছে।
উপজেলার মূলগ্রামের মাসুম বিল্লাহর ভাষ্য, বীজ দিয়ে তৈরি মানচিত্রসহ ফসল উৎপাদনের দৃশ্য দেখে ভালো লেগেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে মধুমেলার ভেতরে কৃষিমেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় দর্শনার্থীর ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত অসংখ্য কৃষিপণ্য ও প্রযুক্তি আনা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা