ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 29th, January 2025 GMT
ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি৷
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, সেটা কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আলোচনা হবে। এছাড়া দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সকল নদী ভারতের সঙ্গে রয়েছে সে সকল নদীগুলোর পানি যেন সুসমবন্টন হয় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। পানি চুক্তি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। ফেনীর মুহুরি চরে একটি সমস্যা আছে। ওই এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে একটি সমস্যা আছে সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তিতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে এই অসম চুক্তি হইয়েছে। এই চুক্তিগুলো যেন বাতিল করা হয় সে বিষয়ে আমরা তাদেরকে বলব। আমরা তাদের বলব এই চুক্তিটা এভাবে করা সঠিক হয়নি।
আরও কি কি অসম চুক্তি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুলাউড়ায় যে রেলস্টেশন আছে সেটা বর্ডার থেকে তিন কিলোমিটার ভিতরে। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো কি না সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট করা হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ১৯৭৪, ১৯৭৫ এবং ২০১১ সালে অসম চুক্তি হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ উপদ ষ ট সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।