ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি৷

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, সেটা কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের আলোচনা হবে। এছাড়া দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সকল নদী ভারতের সঙ্গে রয়েছে সে সকল নদীগুলোর পানি যেন সুসমবন্টন হয় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। পানি চুক্তি কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। ফেনীর মুহুরি চরে একটি সমস্যা আছে। ওই এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে একটি সমস্যা আছে সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তিতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে এই অসম চুক্তি হইয়েছে। এই চুক্তিগুলো যেন বাতিল করা হয় সে বিষয়ে আমরা তাদেরকে বলব। আমরা তাদের বলব এই চুক্তিটা এভাবে করা সঠিক হয়নি।

আরও কি কি অসম চুক্তি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুলাউড়ায় যে রেলস্টেশন আছে সেটা বর্ডার থেকে তিন কিলোমিটার ভিতরে। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো কি না সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট করা হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ১৯৭৪, ১৯৭৫ এবং ২০১১ সালে অসম চুক্তি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ উপদ ষ ট সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ