সিলেটে কাচ্চি ডাইনকে লাখ টাকা জরিমানা
Published: 29th, January 2025 GMT
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে অবস্থিত অভিজাত রেস্টুরেন্ট কাচ্চি ডাইনে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান ও জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা। তিনি বলেন, কাচ্চি ডাইনের এ শাখায় মাংস সংরক্ষণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে করা হয় না। এছাড়া খাবারে ব্যবহৃত অনেক মসলা বিদেশি বলা হলেও আমদানির কাগজপত্র নেই। এসব অপরাধে কাচ্চি ডাইনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আগামীতে এমন অপরাধ না করতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সিলেটে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান দেবানন্দ সিনহা। অভিযানে প্রশাসনের সদস্য ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ২ ইন্টার্ন চিকিৎসককে জরিমানা
খুলনায় বিদেশি সিগারেট বিক্রি, ২ দোকান মালিককে জরিমানা
ঢাকা/নুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’