সংবিধান স্থগিত করে সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) লিডার আহমেদ আল-শারাকে দেশের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাকে। গতকাল বুধবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়টি সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) সরকারের সামরিক অপারেশন বিভাগের মুখপাত্র হাসান আবদেল ঘানি ঘোষণা দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে।

এ সময় আবদেল ঘানি দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, সব সামরিক গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শাসনামলের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা ও বাথ পার্টি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তড়িৎ অভিযানে যোগ দেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দামেস্ক বৈঠক শেষে এই ঘোষণাগুলো এসেছে। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে আল-শারা সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আল-আসাদের অপসারণের পর আল-শারার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপ সিরিয়ার প্রধান শাসক দল হয়ে ওঠে এবং বিদ্রোহীদের দখলকৃত ইদলিব প্রদেশে তারা আগে যে স্থানীয় সরকার চালাত তার কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল শ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ