মালদ্বীপের কে হুরা দ্বীপে অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন অনিয়মিত প্রবাসী শ্রমিককে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান চালায় ইমিগ্রেশন বিভাগ।

ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, হুরায় অনিয়মিতভাবে বসবাসকারী ৪৬ অভিবাসীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি ইমিগ্রেশন বিভাগ।

২০২৩ সালে মালদ্বীপে অনিয়মিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি প্রবাসীকে মালদ্বীপ থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের ভয়ে অনেক প্রবাসী বিভিন্ন দ্বীপে চলে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন বিভাগ ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেসব দ্বীপেও অভিযান শুরু করে।

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে মালদ্বীপে ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ শীর্ষক অভিযান চালানো হচ্ছে। অপারেশন কুরাঙ্গির উদ্দেশ্য—মালদ্বীপে অবস্থানরত সব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করা। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার প্রবাসীর বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে নারী অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে জুতাপেটা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিলে আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই কয়েকজন নারী অভিভাবক তাঁর কক্ষে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। এতে তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

হামলায় অংশ নেওয়া জাহিন ওরফে জাহি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর সময় মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। একই অভিযোগ করেন সুমি বেগম নামে আরেকজন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরে স্যারকে জানিয়েছিলাম। স্যার তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাঁকে হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করি।’

মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের ভাষ্য, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ