বিদ্যার সঙ্গে চর্চিত চুম্বন দৃশ্য নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন প্রতীক
Published: 31st, January 2025 GMT
গত বছরের এপ্রিলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় বিদ্যা বালান অভিনীত ‘দো আউর দো প্যায়ার’ সিনেমা। শীর্ষ গুহঠাকুরতা নির্মিত এই সিনেমায় বিদ্যার বিপরীতে অভিনয় করেন প্রতীক গান্ধী। সিনেমাটিতে এই দুই তারকার রসায়ন দারুণ প্রশংসা কুড়ায়।
‘দো আউর দো প্যায়ার’ সিনেমায় দুই বছরের ছোট প্রতীকের সঙ্গে বিদ্যা বালানের চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। পর্দায় প্রতীকের এটি প্রথম চুম্বন দৃশ্য। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর এই দৃশ্য নিয়ে চর্চা কম হয়নি। পুরোনো সেই চর্চিত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রতীক। জানালেন— পুরো ব্যাপারটি সহজ করে দিয়েছিলেন বিদ্যা বালান।
লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন প্রতীক। ৪৪ বছরের এই অভিনেতা বলেন, “আমি তাকে (পরিচালক শীর্ষ গুহঠাকুরতা) বলেছিলাম, বিষয়টি নানাভাবে দেখানো যেতে পারে। আপনি বললে, আমি আপনাকে বিভিন্ন বিকল্প পথ দেখাতে পারি। আমি যদি চোখ দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি, তবে সেটা দেখতে পারেন। কিন্তু সে কী চায়, কীভাবে চায়— সে ব্যাপার পরিষ্কার ছিল।”
আরো পড়ুন:
অভিনেত্রী থেকে সন্ন্যাসিনী, মমতাকে ঘিরে আখড়ায় জটিলতা
কুম্ভ মেলা থেকে বলিউডে, ভাইরাল মোনালিসার ভাগ্যবদল
পর্দায় প্রথমবার চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের তথ্য জানিয়ে প্রতীক বলেন, “আমি আগে কখনো চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করিনি। কিন্তু বিদ্যা বালান পুরো বিষয়টিকে কৌশলে খুব সহজ করে তুলেছিলেন। আমার মনে হয়েছে, সিনিয়র একজন অভিনেত্রী হিসেবে তিনি এটি তৈরি করতে পারেন।”
হাসতে হাসতে চুম্বন দৃশ্যটি শেষ করেছিলেন, তা জানিয়ে প্রতীক বলেন, “সে (বিদ্যা) খুবই হাসিখুশি, সে সবকিছু একেবারে হালকা করে দিয়েছিল। আমরা হাসতে হাসতে দৃশ্যটি করে ফেললাম।”
সিনেমাটিতে আধুনিক সম্পর্কের সমীকরণ অন্বেষণ করেছেন নির্মাতা। মূলত, ডিভোর্সের দরজায় দাঁড়ানো এক দম্পতিকে ঘিরেই এগিয়েছে কাহিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তির পর সিনেমাটি প্রশংসা কুড়ালেও বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি এটি।
‘দো আউর দো প্যায়ার’ সিনেমায় বিদ্যা-প্রতীক ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ, সেন্থিল রামমূর্তি প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চ ম বন দ শ য
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন