Samakal:
2025-09-18@11:22:54 GMT

ঢাকার শেষ দেখতে মাঠে শাকিব খান

Published: 1st, February 2025 GMT

ঢাকার শেষ দেখতে মাঠে শাকিব খান

চলমান বিপিএলকে ঘিরে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান বেশ আলোচনায় ছিলেন। ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানা নিয়ে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর শিরোপার স্বপ্ন দেখেছিল রাজধানীবাসী, তবে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। প্রথম ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন শাকিব খান, আর তার দল পুরো আসরেই ছন্দ খুঁজে পায়নি।  

টানা ব্যর্থতার কারণে আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টি জিতেছে তারা। আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে দলটি, আর সেই ম্যাচ দেখতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন ঢাকার মালিক শাকিব খান।  

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ক্যাপিটালস। ইনিংসের মাঝপথে স্টেডিয়ামে পৌঁছান শাকিব খান। নির্ধারিত আসনে বসে দলের শেষ ম্যাচ উপভোগ করেন তিনি।

তবে খুলনার বোলারদের দাপটে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ঢাকা। তানজিদ হাসান তামিমের হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১২২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সূচনা করে ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ও লিটন দাস। ২.

৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৯ রান। তবে ১০ রান করেই বিদায় নেন লিটন দাস। এরপর ঢাকার হয়ে লড়াই করেন কেবল তামিম। 

দলীয় ৫৩ রানের মাথায় হাবিবুর রহমান সোহান ফিরলে চাপ আরও বাড়ে ঢাকার ওপর। ফরমানউল্লাহ ২০ বলে ৭ রান করে বিদায় নিলে ব্যাটিং ধুঁকতে থাকে দলটি। তামিম একাই রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। ৩৭ বলে ৭ ছক্কা ও ১ চারে ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।  

সাব্বির রহমান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ১৭ বলে ২০ রান করে তিনিও ফিরলে ২০ ওভার শেষে ঢাকার ইনিংস থামে ১২২ রানে, ৯ উইকেট হারিয়ে। এখন খুলনা টাইগার্সের সামনে প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে সহজ লক্ষ্য মাত্র ১২৩ রান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ