খাবার দান করলেই আদায় হবে জরিমানা
Published: 17th, November 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার একটি পৌর আদালত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জরিমানা আদায়ে অভিনব এক উপায় বের করেছেন। কোনো ব্যক্তি চাইলে জরিমানা নগদ অর্থে পরিশোধ না করে খাবার দান করার মাধ্যমে তা পরিশোধ করতে পারবেন।
শুধু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন নয়; বরং সুনির্দিষ্ট আরও কিছু পৌর জরিমানা আদায়েও এ ব্যবস্থা থাকছে। জরিমানা আদায়ের এ চমৎকার উপায় দারুণ পছন্দ হয়েছে স্থানীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষেরও। তারাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বই জমা দিতে না পারা ব্যক্তিদের জরিমানা এভাবে আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বই নষ্ট করলে বা হারিয়ে ফেললে এ উপায় চলবে না।
ওকলাহোমার চিকাশা শহরের বাসিন্দারা নভেম্বর মাসের বাকি সময় ট্রাফিক ও অন্যান্য পৌর জরিমানা এভাবে দিতে পারবেন। গ্রন্থাগারের জরিমানা এভাবে ডিসেম্বরজুড়েই দেওয়া যাবে।
খাবার দানের মাধ্যমে আংশিক অথবা পুরো জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। জরিমানা আদায়ের এ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফুড ফর ফাইন প্রোগ্রাম’।
চিকাশা পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, খুব শিগগির নাগরিকেরা ট্রাফিক আইনভঙ্গ ও গ্রন্থাগারের বকেয়া দিতে ‘ফুড ফর ফাইন’ প্রোগ্রামের সুবিধা নিতে পারবেন।
এ প্রকল্পে জরিমানার শিকার ব্যক্তি প্রতিটি আইটেম অপচনশীল খাদ্যদ্রব্য জমা দিয়ে ১০ ডলার জরিমানা হ্রাস করতে পারবেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা কমাতে পারবেন।
যথাসময়ে জরিমানা পরিশোধ না করায় যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাঁরাও গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় ছাড়াই এ প্রকল্পে অংশ নিতে পারবেন। এ ছাড়া যাঁদের জরিমানার পরিমাণ ১০০ ডলারের বেশি, তাঁরা বাকি জরিমানা কীভাবে পরিশোধ করবেন, সে পরিকল্পনাও করতে পারবেন।
আদালত ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্প চালু রাখার কথা জানালেও চিকাশা গণগ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ পুরো ডিসেম্বরই এ প্রকল্প চালু রাখার কথা জানিয়েছে।
‘ফুড ফর ফাইন’ প্রকল্পের আওতায় যেসব খাবার জমা পড়বে, সেগুলো চিকাশা ইমার্জেন্সি ফুড প্যানট্রিতে দান করা হবে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রে চিকাশাই একমাত্র শহর নয়; যেখানে খাবারদানের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে আরও কয়েকটি শহরে এ ধরনের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কোথাও কোথাও কয়েক বছর ধরে চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ রন থ গ র এ প রকল প পর শ ধ প রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণা করা হচ্ছে। এই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
ঢাকাবাসীর নিরাপত্তায় রাজধানীতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। গাড়ি ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশ তল্লাশি করছে। আজ সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, ধানমন্ডিসহ ঢাকায় কয়েকটি এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় দেখা যায়, গণপরিবহন অন্যান্য দিনের তুলনায় কম চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতিও কম। গণপরিবহন না থাকায় অনেকে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে যাচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার এই দিনটিকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল থেকে ঢাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তেজগাঁও টার্মিনাল এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকার বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে আসা যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করতে দেখা গেছে।