ওল্ড ট্র্যাফোর্ড যেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য দুর্ভাগ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে নিজেদের মাঠে একের পর এক হোঁচট খাচ্ছে রেড ডেভিলসরা। রোববার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা।  

টানা চতুর্থ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ক্রিস্টাল প্যালেস। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকদের রক্ষণে চাপ তৈরি করে সফরকারীরা।  

অবশেষে ৬৪ মিনিটে প্যালেসের গোলের খাতা খুলেন জ্য ফিলিপ্পে মাতেতা। তার প্রথম শট ক্রসবারে লেগে ফিরলেও ফিরতি বলেই লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইউনাইটেড, কিন্তু সফল হতে পারেনি। উল্টো ৮৯ মিনিটে আবারও গোল হজম করে রুবেন আমোরিমের দল। নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাতেতা, নিশ্চিত করেন প্যালেসের দাপুটে জয়।  

এই হারে ২৪ ম্যাচে ১১তম পরাজয় দেখলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফলে তারা নেমে গেছে ১৩তম স্থানে, আর প্যালেস উঠে এসেছে ১২ নম্বরে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ