ওমরাহতে গিয়ে ‘ভিক্ষাবৃত্তি’, ১০ পাকিস্তানি গ্রেপ্তার
Published: 3rd, February 2025 GMT
ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা করার অভিযোগে ১০ পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। পরে রোববার করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। খবর জিও নিউজের
এফআইএ'র একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে যাওয়ার পর গ্রেপ্তারকৃতরা ভিক্ষা করছিলেন। তারা রাজানপুর, কাশমুর, নাউশাহরো, ফেরোজ, লাহোর, পেশাওয়ার, মোহমান্দ এবং লারকানার বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এফআইএ'র কর্মকর্তা। সেইসঙ্গে বিদেশে কেউ যেন বিভিন্ন ভিসায় ভিক্ষা করতে যেতে না পারে তা ঠেকাতে পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে কড়া যাচাই বাছাই নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এবং সৌদি রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সাঈদ আহমেদ আল মালিকির বৈঠকের পর পাকিস্তান সরকার এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে চার হাজার ৩০০ ভিক্ষুকের নাম তালিকাভুক্ত করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব
এছাড়াও পড়ুন:
ভুয়া ফুটবল দল গড়ে জাপানে আদম পাচার, পাকিস্তানে দালাল গ্রেপ্তার
পাকিস্তানে ফুটবল এজেন্ট পরিচয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের ফুটবল খেলোয়াড় সাজিয়ে জাপান পাঠাতেন ওয়াকাস আলী নামের ওই ব্যক্তি। তিনি শিয়ালকোটের পাসরুর শহরের বাসিন্দা। ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে আটক করেছে এফআইএর গুজরানওয়ালা জোন।
এফআইএ এর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ওয়াকাস আলী ১৭ জন অভিবাসীর সঙ্গে যোগসাজশ করে বোয়াভিস্তা ফুটবল ক্লাবের আমন্ত্রণপত্র ব্যবহার করে জাপানের ১৫ দিনের ভিসা সংগ্রহ করেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এর খবরে বলা হয়, সেই সিনিয়র কর্মকর্তা দাবি করেন, ওয়াকাস আলী পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) ভুয়া রেজিস্ট্রেশন, চিঠি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নকল অনাপত্তিপত্র ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুনকাশির সিরাপ খেয়ে নিষিদ্ধ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন এখন ফেরার অপেক্ষায়৪ ঘণ্টা আগেসিনিয়র কর্মকর্তার ভাষ্য, প্রধান সন্দেহভাজন ওয়াকাস ‘গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল’ নামে একটি ভুয়া ক্লাব গড়ে তোলেন এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে তিনি ৪০ থেকে ৪৫ লাখ রুপি নিয়েছেন। ওই ব্যক্তিরা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি জাপানে গিয়ে আর পাকিস্তানে ফেরেননি। এফআই-এর গুজরানওয়ালা জোনের পরিচালক মুহাম্মদ বিন আশরাফ ডনকে বলেন, সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
তদন্তে জানা গেছে, ওয়াকাস আলী একই ধরনের আরেকটি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৫ সালের ১৫ জুন তিনি জাপানে ২২ সদস্যের একটি ভুয়া ফুটবল দল পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠায়। এরপর এফআইএ তদন্ত শুরু করে এবং ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করে মামলা রুজু করে।
আরও পড়ুনরেফারিকে মারধর, রাজশাহীকে জরিমানা, ৫ ফুটবলার ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ১৯ ঘণ্টা আগেএফআইএ অফিশিয়ালদের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, জাপানের বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা সেই ২২ জনের সবাই ফুটবল কিট পরে নিজেদের পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) খেলোয়াড় দাবি করেছিলেন এবং সঙ্গে ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাল অনাপত্তিপত্র।
তবে জাপানের বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রতারণা ধরা পড়লে তাঁদের ফেরত পাঠায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রশ্ন থেকে গেছে, এসব ‘ভুয়া’ খেলোয়াড় কীভাবে পাকিস্তানের বিমানবন্দর পেরোতে সক্ষম হলো।