বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক আর নেই, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
Published: 3rd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ তাতীপাড়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য মো. সিরাজুল হক আর নেই। রবিবার দিবাগত রাতে বুকে ব্যাথা অনুভব করলে সিরাজুল হককে শহরের ইসলাম হার্ট সেন্টারে নেওয়া হলে সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম দেওভোগ ব্যাপারীপাড়া এলাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার ও আদর্শ গ্রামের নিরালা বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে পাইকপাড়া বড় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, নারায়ণগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও ফতুল্লা মডেল থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের মেজ ছেলে ও দৈনিক বাংলা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ ডালিম বলেন, আমার বাবা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করে সার্জেন্ট পদে দায়িত্বপালন শেষে, ১৯৮৬ সালে অবসর নেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।