ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নেবে। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যের পর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নে সৌদির অবস্থান আগের মতোই আছে।

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গতকাল ওয়াশিংটন গিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শুরুর আগে ওভাল অফিসেই এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।

সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের  প্রসঙ্গটি তোলা হয়। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সৌদি যদি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দাবি করে, সেক্ষেত্রে ট্রাম্প কী করবেন।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, তারা দাবি করবেন না। কারণ সবাই একটি ব্যাপারই চায়- শান্তি।

নিকট ভবিষ্যতে সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলের জন্য আমাদের একজন সঠিক নেতা রয়েছেন। তিনিও শান্তি চান।

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে সৌদির যে অবস্থান, তা দৃঢ় এবং অবিচল। কোনো অবস্থাতেই এর পরিবর্তন ঘটবে না।

ক্রাউন প্রিন্স এবং সৌদির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরা কাউন্সিলের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীনভাবে এ ইস্যুতে দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল স দ আরব অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ