আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু হবে।

এর আগে দেশে চার-পাঁচদিন অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। বিপিএল চলায় সব ক্রিকেটাররা ছিলেন খেলার ওপর। তাই জোর দিয়ে এই মুহূর্তে অনুশীলন করবে না দল। তবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করছে বিসিবি। ১৪ ফেব্রুয়ারি দল দুবাই পৌঁছবে। পরের দিন দুবাইতেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ‘এ’ দল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।

আরো পড়ুন:

মুলতানে পাকিস্তানের বড় লিডের দিনে ফিরে এল বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

বিপিএলের ফাইনাল ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে যারা বাদ পড়েছেন তারা এরই মধ্যে সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। জাকের আলী গতকাল অনুশীলন করেছেন সালাউদ্দিনের অধীনে। এছাড়া বিপিএলে ভালো করা বেশ কজন ক্রিকেটারকেও ডেকেছেন তিনি।
ফরচুন বরিশালের হয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কম্বিনেশনের কারণেই একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। যদিও পারফরম্যান্স আহামরি কিছুই ছিল না। তাকে নিয়ে সালাউদ্দিন নিয়মিত কাজ করছেন।

সব ক্রিকেটাররা যে দুবাই যাওয়ার আগে অনুশীলন করবেন তেমনটাও নয়। পেসারদের রিকোভারি টাইমের জন্য বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। বিপিএল ফাইনাল শেষে দুয়েকদিন বিশ্রাম শেষে অনেকে যোগ দিতে পারেন।

হেড কোচ ফিল সিমন্স এরই মধ্যে ঢাকায় চলে এসেছেন। বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচ দেখেছেন তিনি। স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ ঢাকায় আসবেন শুক্রবার। কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যরা সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার পর দল চলে যাবে পাকিস্তানে। সেখানে গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুইটি ম্যাচই হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ