রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৫ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ অভিযান চালায় মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তানজিম ওরফে তানিশা, মো.

হৃদয়, মো. শুভ, মো. সুমিত, মারুফ, আখতার হোসেন, রুবেল মিয়া, রাফিউর রহমান চৌধুরী (রাজ), মো. মিলন, মো. শাকিল, মো. সুজন, মো. মাসুম, জহিরুল ইসলাম ওরফে রিপুল ওরফে বিপুল, মো. রায়হান, মো. হৃদয়, মো. শামীম, রাব্বি, মোহাম্মদ ইয়াসিন, আল আমিন, মোহাম্মদ মারুফ, মো. মোতালেব, হাসান, আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ মহসিন ও একজন কিশোর। তাঁদের বয়স ১৭ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইবনে মিজানের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানা বিভিন্ন ছিনতাইপ্রবণ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে চিহ্নিত মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী, চোর, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে মাদকবিরোধী অভিযানে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

মাদকবিরোধী অভিযানে বরিশালের গৌরনদী পৌর যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মাহতাবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার টরকী বাসস্ট্যান্ডের ঈগল কাউন্টারের পেছনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন পিস ইয়াবা, মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং পৌর যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মাহতাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ওসি জানান, গোলাম মাহতাবের কাছে ইয়াবা পাওয়া না গেলেও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানার এসআই মো. জুয়েল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বলেছেন, আমি শুনেছি, মাদক সেবনকালে গোলাম মাহতাবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দল মাদক সেবন, বিক্রি বা সেল্টার কোনোটাতেই প্রশ্রয় দেয় না। কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িত থাকে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ