গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠি হয়।

সমাবেশে সমন্বয়কদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনারা আপানাদের কার্যক্রম এবং সংস্কারের নামে যে রাজনৈতিক নতুন দল গঠনে আপনারা সুবিধা নিচ্ছেন, সেই সুবিধাগুলো বন্ধ করে এখন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আপনারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

এবং গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিৎ করবেন। অন্যথায় আমরা কিন্তু আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে দিবো। সেখানে কিন্তু আপনাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কোন ক্ষমতা নাই। আমরা গণ অধিকার পরিষদ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা করতে চাই না, কারণ আমরা আমাদের নেতার সাথে বেঈমানী করতে চাই না। দ্রুত যদি এ আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের যদি গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আমরা গণঅধিকার পরিষদ মাঠে নেমে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলবো ইনশাআল্লাহ্।

আপনাদের বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগের সাথে আপনারা আপোষ করবেন না, খুনি হাসিনার সাথে কোন আপোষ করবেন না। যদি খুনি হাসিনার সাথে আপনারা আপোষ করেন, তাহলে আমরা আপনাদের বয়কোট করতে বাধ্য হবো।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে গণঅধিকার পরিষদ নেতৃবৃন্দরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি মো.

নাহিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, মহানগরের সভাপতি আরিফ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রাহুল আমিন রাহুল, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব মাহমুদ কালাম প্রমূখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আপন র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর