আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশকে দুটি গাড়ি দিল হা-মীম গ্রুপ
Published: 5th, February 2025 GMT
সাভারের আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশকে দুটি পিকআপ ভ্যান উপহার দিয়েছে হা-মীম গ্রুপ। বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে গ্রুপের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে এ জোনের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল মঈনের কাছ থেকে চাবি গ্রহণ করেন শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.
মোমিনুল ইসলাম বলেন, শিল্প পুলিশ সীমিত লোকবল ও সক্ষমতা দিয়ে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায়ে নিরলসভাবে কাজ করছে। মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরিতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ রক্ষায় গাড়ি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আব্দুল মঈন বলেন, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যে কোনো অসন্তোষ নিরসন, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও সম্পদের নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশ-১-এর সদস্যরা কাজ করছেন। তাদের টহল কার্যক্রম জোরদারে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের উদ্যোগে দেওয়া প্রায় ৭৫ লাখ টাকার পিকআপ ভ্যান দুটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে শিল্প পুলিশ-১-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় হা-মীম গ্রুপের আশুলিয়া জোনের নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) এম এন কবির, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. আকতারুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. আওরঙ্গজেব, মেজর (অব.) মো. আনিসুজ্জামান আনিস, জেনারেল ম্যানেজার মাসুদুর রহমান, কাজী রাফিউদ্দিন আহমেদ, লোকমান হোসেন, বেলাল হোসেন, শাহ্ আলম, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার কাজী জাহিদুল ইসলাম, অডিট ম্যানেজার পিয়াসুজ্জামান, শিল্প পুলিশের এএসপি মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী