রোয়াংছড়ির আলোর পাঠশালার শিশুদের অন্য রকম আনন্দের দিন
Published: 5th, February 2025 GMT
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ‘আলোর পাঠশালা’র শিশুদের অন্যরকম আনন্দের দিন ছিল আজ বুধবার। এ দিন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবে মেতেছে শিক্ষার্থীরা। শীতের সকালের নরম রোদে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও নারী-পুরুষ অভিভাবকদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সকাল ১০টায় পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষ হয় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে। এতে দৌড় প্রতিযোগিতা, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, স্কিপিং, মোরগ লড়াই, গোলক নিক্ষেপ, রিলে দৌড়সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি ইভেন্টে তিনজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বার্ষিক পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো ফল করা ও বছরব্যাপী শ্রেণি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীকেও উদ্দীপনামূলক পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম অত্যন্ত সুন্দর নাচ ও গান পরিবেশনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রশংসা করেছেন। তিনি প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রথম আলো রোয়াংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যালয় পরিচালনা করছে। মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতারই প্রমাণ এটা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগিতার জন্য তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়