দিল্লি শাসনে ফিরছে বিজেপি, আম আদমির বড় পরাজয়
Published: 6th, February 2025 GMT
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। গত এক দশকের বেশির ভাগ সময় ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বড় ধরনের পরাজয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে।
গতকাল বুধবার ভারতের দিল্লি বিধানসভার ভোট গ্রহণ শেষে বেশির ভাগ বুথফেরত জরিপ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। বুথফেরত জরিপ অনেকবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আগামী শনিবার ৭০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের ফল জানা যাবে। এককভাবে জিততে হলে কোনো দলকে ৩৬টি আসন পেতে হবে।
বুথফেরত জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান চাণক্য স্ট্র্যাটেজি, জেভিসি, পোল ডায়েরি, পি-মার্ক, পিপলস ইনসাইট ও পিপলস পালস বিজেপির জয়ের প্রত্যাশা করছে। ৭০ আসনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির দল ৫১ থেকে ৬০টি আসন পাবে বলেও প্রত্যাশা কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের। পোল ডায়েরি ও পিপলস ইনসাইটের প্রত্যাশা, বিজেপি ৪০টিরও বেশি আসন পাবে। জেভিসি, চাণক্য স্ট্র্যাটেজি ও পি-মার্ক আশা করছে, বিজেপি কমপক্ষে ৩৯টি আসন পাবে। উইপ্রেসাইড বিশ্বাস করে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল ৪৬ থেকে ৫২টি আসন পেয়ে আরও একটি বিশাল জয় পাবে।
এদিকে, ম্যাট্রিজ বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কেজরিওয়ালের দল ৩২ থেকে ৩৭টি আসন এবং বিজেপি ৩৫ থেকে ৪০টি আসন পাবে।
অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এসব গণনায় কংগ্রেসের অনুপস্থিতি। চাণক্য স্ট্র্যাটেজি বলছে, দলটি তিনটির বেশি আসনে জিতবে বলে আশা করা হচ্ছে না। পিপলস পালস মনে করছে, গান্ধী পরিবারের নেতৃত্বাধীন দলটি শূন্য আসন পাবে।
গত এক দশকের বেশির ভাগ সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল দিল্লির তিন কোটি মানুষের শাসকের ভূমিকায় রয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আসন পান কেজরিওয়াল। ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে দ্রুত গতিতে। জরিপগুলো সত্য হলে আম আদমি পার্টি বড় ব্যবধানে হারতে চলেছে। ২০১৫ সালে ৬৭টি এবং ২০২০ সালে ৬২টি আসনে জয় পেয়েছিল দলটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আসন প ব
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল