ঢাকার ইজতেমা থেকে ফেরার পথে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম তরুণকে মারধর
Published: 6th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ট্রেনে হামলার শিকার হয়েছেন রেজাউল ইসলাম নামে এক তরুণ। টুপি ও দাড়ি দেখে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন। গতকাল বুধবার রেজাউলকে নিয়ে সমাজকর্মীদের একটি দল শিয়ালদহ স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছে।
রেজাউলের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার সকালে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ শেষে রেজাউল গেদে-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনে করে বাংলাদেশ থেকে ফিরছিলেন। তিনি তাঁর মালপত্র ট্রেনের বাংকারে ও চেয়ারের নিচে রেখেছিলেন। প্রথম দিকে ট্রেন ফাঁকা থাকলেও পরে নিয়মিত যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে শুরু করেন। যাত্রীদের কেউ কেউ কোনো কারণ ছাড়াই সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথাবার্তা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। রেজাউল এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর শুরু হয়।
ওই তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, অশালীন ভাষায় সাম্প্রদায়িক নানা কথা বলার পর যাত্রীদের কেউ কেউ আমাকে বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা ভারতের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছি। আমি ওই যাত্রীদের জানাই, আমি ভারতীয় এবং তাঁদের যা অধিকার আছে আমারও সেই অধিকার আছে। এইটা বলার পরেই তারা আমাকে মারধর শুরু করেন।’
বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নানা আলোচনা চলছে। মূলত মুসলমান সম্প্রদায়ের দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া—মার্ক্সবাদী (সিপিআইএম) এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে।
ভারতে সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর বিনা প্ররোচনায় আক্রমণের এটা প্রথম ঘটনা নয়। ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিভিন্ন জায়গায় বাঙালি মুসলমানরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে।
গত আগস্টে মুহাম্মদ রবিউল হক নামে হুগলি জেলার এক বাসিন্দার ওপর জেলার শ্রীরামপুরে একই ধরনের হামলা হয়। হামলার সময় রবিউল হক একটি ট্রেকারে (জিপ) সফর করছিলেন। দীর্ঘ সময় পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রবিউল পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু কমিশনের দ্বারস্থ হন। এরপর বিষয়টি সামনে আসে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকেও সংখ্যালঘুদের ওপর সম্প্রতি এই ধরনের হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
দলের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার, জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর (অব.) আ
বিএনপির সাবেক নেতা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দলটিতে যোগ দিয়ে তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
ডা. শফিকুর রহমান এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। বিএনপিতে থাকা অবস্থায় দলটির বিরুদ্ধে মন্তব্য করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি আলোচিত হন।
বিএনপি থেকে দুইবার কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//