বিদেশে পুরস্কার পাওয়া ‘বলি’ পেল ৮ হল, ২০ হলে আবুল হায়াতের ‘দায়মুক্তি’
Published: 7th, February 2025 GMT
আজ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে দুটি সিনেমা। একটি ইকবাল হোসাইন চৌধুরী পরিচালিত ‘বলী’, অন্যটি বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘দায়মুক্তি’। দুটি সিনেমাই সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে।
‘বলি’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে দেশের ৮টি হলে। আর রাজধানী ঢাকা ও বগুড়াসহ ২০টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘দায়মুক্তি’
মুক্তির আগে ‘বলী’ সিনেমাটি বিশ্বের একাধিক মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয় সিনেমাটি। এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘বলী’। চট্টগ্রামের বলীখেলার ঐতিহ্য ও ‘উপকূলীয় মিথ’ নিয়েই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, যিনি সাগরপারের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও অভিনয় করেছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, এ কে এম ইতমামসহ কয়েকজন।
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের ‘বলী’ ২০২৩ সালে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘নিউ কারেন্টস’ বিভাগে সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতে নেয়।
অন্যদিকে বৃদ্ধাশ্রমের গল্প উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে ‘দায়মুক্তি’। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, সুস্মী রহমান, সামিয়া নাহি, আবুল হায়াত, দিলারা জামান, সম্পা নিজাম, সুব্রত, সূচরিতা প্রমুখ। সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক খোকন বলেন, সিনেমাটিতে উঠে এসেছে সমাজের সমসাময়িক একটি পরিচিত গল্প। মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার বাইরে সেভাবে বলতে গেলে ‘দায়মুক্তি’ আমার প্রথম গল্পভিত্তিক সিনেমা। অনেকটা দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজটি করছি। নতুন প্রজন্মসহ সকল শ্রেণির দর্শকের সিনেমাটি দেখা উচিত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান
ঢাকার ছবি নিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসানের এমন দৌড়ঝাপ বহুদিন দেখা যায়নি। কেবল কলকাতার ছবি নিয়ে তাঁর সাফল্য ও দৌড়ঝাপ বিগত কয়েক বছর দেখেছেন দর্শক। এবার চিত্র বদলেছে। ঈদুল আজহায় দেশের সিনেমা হলে একসঙ্গে দুটি সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব। ঈদের সকাল থেকে শুরু করে আজও, দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা হলে ছুটে চলেছেন জয়া। ছবির সঙ্গে দর্শকের হৃদয়ের সংযোগটা যেন নিজ চোখেই দেখছেন তিনি।
ঈদুল আজহার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই তাণ্ডবের প্রচারণায় দেখা গেছে জয়াকে। সিনেমা মুক্তির পর সে প্রচারণা বাড়িয়েছেন বহুগুণ। ‘তাণ্ডব-এর প্রচারে গিয়ে জয়া বলেন, ঈদে যখন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, তখন ঈদের আবহটাই যেন সেই সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়। ঈদের সকাল থেকেই সবাই খবর নেয়, সিনেমাটি কেমন চলছে। জানলাম, তাণ্ডব দেখতে সকাল থেকেই হলে দর্শকের ভিড় লেগে আছে। সিনেমাটি নিয়ে মানুষ রীতিমতো উন্মাদ হয়ে উঠেছে। এটাই তো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
তাণ্ডব সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমাটিতে তিনি অভিনয় করেছেন এক সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবিতে আরও রয়েছেন আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এজাজুল ইসলাম, সুমন আনোয়ার ও মুকিত জাকারিয়ার মতো দক্ষ অভিনয়শিল্পীরা।
দর্শকের সঙ্গে একত্রে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া বলেন, ‘আমি নিজেই দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করছি। একজন দর্শক হিসেবে বলতে পারি, পুরো টাকাটা উসুল! সিনেমা হলে যখন চারদিক থেকে শিস ও হাততালির শব্দ উঠছিল, তখনই বুঝে গেছি, তাণ্ডব মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, তাণ্ডব-এর মূল শক্তি তার গল্প। আমাদের টিম ছিল অসাধারণ। পর্দার সামনেও যেমন, তেমনি পেছনেও সবাই একদম হৃদয় দিয়ে কাজ করেছে। আমরা নিজেরাও ভীষণ আনন্দ নিয়ে ছবিটি করেছি। এরই মধ্যে দর্শকদের যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে মন ভরে গেছে।”
অন্যদিকে, ‘উৎসব’সিনেমার প্রচারেও পিছিয়ে নেই জয়া আহসান। এ ছবিটিও দর্শকের সঙ্গে দেখার জন্য গেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে বিনিময় করেছেন কুশল, শুনেছেন ভালো লাগা-মন্দলাগা।
জয়া বলেন, উৎসব দেখার পর দর্শকেরা নিজেরাই বলছেন– এই সিনেমাটি অনেক দিন মানুষের মনে থাকবে। ছবিটিতে যে শিল্পীরা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমি নিজে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে ছুটে চলা একজন শিল্পী; চঞ্চল ব্যস্ত একজন মানুষ, আর অপি তো যে কোনো কাজ করেন না-যতক্ষণ না সেটা তাঁর পছন্দ হয়। এতগুলো ভিন্নধর্মী শিল্পীকে এক ফ্রেমে আনা গেছে কেবল পরিচালকের মুনশিয়ানায়। আমার বিশ্বাস, সিনেমাটির যাত্রা আরও দীর্ঘ হবে।’
জয়ার দুই ছবি দেখতেই দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। টিকিট পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গটি সামনে এনে জয়া বলেন, আমি নিজেই সিনেমা দেখতে গিয়ে টিকিট পাইনি। সেটা মনে হলে লজ্জাও লাগে। আশা করি, নির্মাতারা দর্শকদের জন্য টিকিট পাওয়ার সুযোগ আরও সহজ করে তুলবেন।’
ঈদের দুই ভিন্ন স্বাদের ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’দুটোতেই জয়াকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন আবহে। অথচ, প্রতিটি চরিত্রেই যেন তাঁর এক নিজস্ব ছাপ, এক অনবদ্য সত্তা। সিনেমা হলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে, তাণ্ডবের ভরপুর দর্শকদের উপস্থিতি। আর ধীরে ধীরে জমে উঠছে উৎসব সিনেমাটিও।