একসময়ের মিষ্টি-মধুর প্রেমের সম্পর্কও নানা কারণে বিষিয়ে ওঠে। তিক্ততা জমে জমে গড়ে ওঠে অভিযোগের পাহাড়। এমন তিক্ততা কাটিয়ে সম্পর্কটা এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে উঠলে বিচ্ছেদই হয়ে ওঠে অবশ্যম্ভাবী। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এমন দোদুল্যমান সম্পর্কের মধ্যে অনেকেই আছেন। বিচ্ছেদের পরিকল্পনা করতে গিয়ে কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন, বিশেষ দিনটির কথা। কিন্তু এই যুগলেরা সম্পর্কটাকে কি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেনে নেবেন নাকি ইতি টানবেন এখনই?

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির সেন্টার কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মরগান কোপ মনে করেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত একজনের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। তাই এটা হুটহাট নেওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত নয়। তবে সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত আগেই নিশ্চিত হয়ে থাকলে শুধুই ভালোবাসা দিবস আসছে বলে তা টেনে নেওয়াও অনুচিত।

স্বাভাবিক দৃষ্টিতেও যে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই পক্ষই সন্দিহান, শুধু একটি দিনকে কেন্দ্র করে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনো অর্থ নেই। যাঁর প্রতি আপনার আর কোনো অনুভূতি কাজ করছে না, তাঁর সঙ্গে ভালোবাসা দিবস কাটানো বরং আপনার জন্য মানসিকভাবে চাপ তৈরি করতে পারবে। তাই এমন ভাঙনের সামনে দাঁড়িয়ে বিশেষ দিনটি নিয়ে পরিকল্পনা করার চেয়ে বিচ্ছেদের পথে এগোনোই ভালো। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভালোবাসা দিবসের অন্তত এক সপ্তাহ আগে ব্রেকআপ করার। এতে দুই পক্ষই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সময় পান।

প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই একধরনের অপরাধবোধ কাজ করে। তাই বিচ্ছেদের পর নিজেকে বা প্রাক্তনকে অপরাধী না ভেবে বরং সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা ভাবুন। অতীতের কথা না ভেবে নিজেকে সময় দিন, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, পড়াশোনা বা ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিন, নতুন কোনো অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন এবং প্রাক্তনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখুন।

নিজেদের মধ্যে জমা হওয়া ভুল–বোঝাবুঝি অবসানের উপলক্ষও হতে পারে ভালোবাসা দিবস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক ঘণ্টায় আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এসব হামলায় ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে আরও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হাইফা, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ও বিকট শব্দ শোনা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সারা দেশে ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ