প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রদল আহ্বায়কসহ ১০ জন আহত
Published: 8th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির সাবেক এমপির জনসভার পোস্টার লাগাতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ওপর প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল ফাহাদসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নাজিরপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা উপস্থাপনের লক্ষ্যে আজ শনিবার বাউফল পাবলিক মাঠে জনসভা করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার। বৃহস্পতিবার নাজিরপুর এলাকায় তাঁর সমর্থক ছাত্রদলের রাকিব পোস্টার লাগাতে যান। এতে বাধা দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলার সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন। রাতে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফাহাদসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী নাজিরপুর গ্রামে ফের পোস্টার লাগাতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালান এনায়েতের সমর্থক নেতাকর্মী। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
হামলায় আহত অন্যরা হলেন– রেদোয়ান, সাজিদ, অন্তর, কাওছার, আল আমিন, রাতুল, রাকিব ও ইলিয়াছ। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন তারা।
বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফাহাদ ও তাঁর লোকজন পরিকল্পিতভাবে এলাকায় ঢুকে লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তখন তাঁর লোকজন আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ছ ত রদল র ন ত কর ম ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ–গুলি, উত্তর জেলা আহ্বায়কসহ আহত ২০
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়কের সত্তারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ছররা গুলিতে আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নেতা–কর্মীদের বহর নিয়ে উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতির কবর জিয়ারত করতে যান গোলাম আকবর খন্দকার। একই দিন আগামী ৯ আগস্ট সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে পূর্বনির্ধারিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কর্মসূচি ছিল গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের। গোলাম আকবর তাঁর বহর নিয়ে সত্তারহাট এলাকায় পৌঁছালে সেখানে অবস্থান নেওয়া গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের মুখোমুখি হন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাম আকবরের বহরের একটি পাজেরো জিপের সামনের–পেছনের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। গাড়ির ভেতরেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল। ঘটনার পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে পুলিশ আসার পর সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
রাউজানে সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা গাড়ি। আজ বিকেলে