ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে আহত রবিউল হোসেন পলাশকে (৪৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে থাইল্যান্ড পাঠানো হয়। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান সিএমএইচে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে কাজ করা ছাত্র প্রতিনিধি নুসরাত জাহান ও মো. ইমরান খান। 

গত ৪ আগস্ট জুলাই গণবিপ্লবে গুলিতে আহত হন পলাশ। একটি গুলি তার পেটকে ছিদ্র করে লিভারে আঘাত করে। আর একটি গুলি তার স্পাইনাল কর্ডকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। পরে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার পেটে অপারেশন করা হয়। কিন্তু বুলেটের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হওয়া স্পাইনাল কর্ড ঠিক হওয়া সম্ভব না। এজন্য চিরতরে হাটাচলার ক্ষমতা হারান তিনি। 

পরে সিএমএইচে তাকে নিয়ে বোর্ড করা হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রোবটিক ফিজিওথেরাপির জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন আহত

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন। 

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।

অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”

বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”

অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”

অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।

ঢাকা/লিমন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ