শিক্ষার্থী নয়, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুরের পেছনে সন্ত্রাসীরা: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা
Published: 8th, February 2025 GMT
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নয় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুরের পেছনে রয়েছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার বিধাননগরে ‘ইন্ডিয়া'স ফরেন পলিসি রোডম্যাপ উইথ ফোকাস অন ইমিডিয়েট নেইবারহুড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি কেবল শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িই নয় এটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, আর্কাইভ ও নথি ছিল। আমার মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার একটা প্রচেষ্টা এটি। এর পেছনে কোন শিক্ষার্থী ছিল না, যারা ছিল-তারা সবাই সন্ত্রাসী। ব্যাপারটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একেবারেই সুখকর নয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ থাকাটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের। তাই দেশটিতে অস্থিরতা বা প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়বে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ন্যারিটিভ বদলে গেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন বানচালের জন্যই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে: ছাত্র অধিকার পরিষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচাল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভয় দেখানের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
বিন ইয়ামিন আরও বলেন, যাঁরা এই ক্যাম্পাসে পূর্বের কায়দায় ককটেল, বোমা ও লাশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, তাদের ‘কালো হাতকে’ শিক্ষার্থীরা সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
সোমবার সকালে আইন অনুষদের সামনে থেকে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়