পঞ্চগড়ে পুকুরে ভাসছিল নারীর লাশ, উদ্ধার করল পুলিশ
Published: 9th, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মর্জিনা বেগম (৬২) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের শালবাহান এলাকার একটি পুকুর থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ।
মর্জিনা বেগম তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন বাজার-জিয়ানগর এলাকার প্রয়াত শামসুল হকের স্ত্রী। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন মর্জিনা বেগম। গতকাল সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। পরে সন্ধ্যার দিকে শালবাহান এলাকায় একটি পুকুরে একজন নারীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে মর্জিনা বেগমের স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। তিনি কোনো স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন বলে ধারণা করছেন স্বজনেরা। গ্রামীণ কাঁচা সড়কের ধারের ওই পুকুরে তিনি হাঁটার সময় পা পিছলে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও তিনি একাধিকবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির প্রথম আলোকে বলেন, রাতে ওই নারীর লাশ উদ্ধারের সময় পরিবারের লোকজন লাশটি মর্জিনা বেগমের বলে শনাক্ত করেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন